প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৪:৩৯ : অপরাহ্ণ
জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষে অষ্টম ও নবম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। এতে পাঠদানের ধরণ যেমন বদলে যাবে তেমনি পরিবর্তন আসবে শিখন ও মূল্যায়নেও। ফেল করবে না আর কোনও শিক্ষার্থী। মূল্যায়নে কম দক্ষতা ও যোগ্যতার শিক্ষার্থীরা পরের শ্রেণীতে উঠেও মানোন্নয়নের সুযোগ পাবে।
কাকে বলে আহ্নিক গতি বার্ষিক গতি? সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের বৃত্তান্তই বা কী? সহজেই হাতে কলমে শিখছে শিক্ষার্থীরা।
পাঠ্যপুস্তকের ধরাবাধা বর্ণনার বাইরে শ্রেণীকক্ষেই যেন ঘনঘোর বর্ষার বারিধারা নামে- কবিতায়, গানে আর নাচের মুদ্রায়। ঋতু বৈচিত্র্য থেকে শুরু করে রান্নাঘরের উপাখ্যান সব ক্ষেত্রেই শিখনের নতুনত্ব যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশর ইতিহাস মুখস্ত করা নয়। বইয়ের পাশাপাশি চারপাশের বিভিন্ন সূত্র থেকে ইতিহাস জেনে নিজেদের মতো করে সেগুলোর উপস্থাপন ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শ্রেনীকক্ষে শিখন প্রক্রিয়ার সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কৌশলও।
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে চলতি বছরই চালু হয়েছে নতুন এই শিখন পদ্ধতি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বছর অষ্টম ও নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা পাবে নতুন শিক্ষাক্রমের বই। সেখানেও আলাদাভাবে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের বই থাকবে না। বর্ণনামূলক অধ্যায়ের চেয়ে বেশি থাকবে ছবি। অনুশীলনের মধ্যদিয়ে ব্যবহারিক প্রক্রিয়ায় তত্ত্বকথা জানবে শিক্ষার্থীরা। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও শুরু হবে ডিসেম্বর নাগাদ।
সূত্র – বৈশাখী অনলাইন