প্রকাশ: ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ১১:৫৫ : পূর্বাহ্ণ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। নজরুল একই সঙ্গে বিদ্রোহ আর প্রেমের কবি। অগ্নিঝরা লেখনি দিয়ে বাঙালি জাতিকে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে চেয়েছেন তিনি। মুছে ফেলতে চেয়েছেন মানুষে মানুষে ভেদাভেদ। তাই, সা¤প্রতিক বাস্তবতায়ও নজরুলের চিন্তা ও দর্শন খুব প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। তাগিদ জানালেন, সেই দর্শনের গভীর চর্চার। এদিকে, জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশজুড়ে রয়েছে নানা আয়োজন।
বাঙ্গালীর হৃদয়ে চিরস্মরনীয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। যতোদিন বাংলা ভাষাভাষি থাকবে, ততোদিনই তিনি বেঁচে রইবেন বাঙালির অস্তিত্বের সাথে। তিনি একাধারে বিদ্রোহ, প্রেম ও সাম্যের কবি। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ সব লড়াই সংগ্রামেই নজরুলের লেখা গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।
অসাম্যের বিরুদ্ধে সাম্যের যে সংগ্রাম নজরুল করেছেন সৃজনকর্মের মাধ্যমে, সে লড়াই এখনো সমকালীন। বৃটিশ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি এবং সাম্রাজ্যবাদ, মৌলবাদ ও ঔপনিবেশিকতা বিরোধী লড়াইয়ে তিনি সদাসক্রিয়, তাঁর সৃষ্টি নিয়ে।
মানুষের মুক্তির আকাঙ্খাই তাঁর চিন্তাজগতের বিষয়। তাই কাজী নজরুলের দেখানো পথ তরুনদের জন্য সর্বদা অনুস্মরনীয়।
শুধু বিদ্রোহ নয়, গভীর প্রেমের অনুভূতিকেও অত্যন্ত সহজ ভাষায় তুলে এনেছেন তিনি।
সৃষ্টির জন্য যেটুকু সময় পেয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম, তাতেই পূর্ণ করে গেছেন বাংলা সাহিত্যের ভান্ডার। তাঁর অসামান্য সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে আজও বেঁচে আছেন, থাকবেন অনন্তকাল।