প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ১০:০৮ : পূর্বাহ্ণ
সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। সকাল ১০টায় এ পেনশন পদ্ধতি উদ্বোধন করা হবে।
এতদিন কেবল সরকারি কর্মচারীরা পেনশন সুবিধা পেত। স্বাধীনতার পর এই প্রথম সব নাগরিকের জন্য পেনশন চালু হচ্ছে। চারটি পেনশন স্কিম হবে- প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রগতি স্কিম, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম ও স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য সমতা স্কিম।
১৮-৫০ বছর বয়সী নাগরিকরা এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও পাবেন এ সুবিধায়। তবে সেটা কিভাবে এবং কারা পাবেন তা চূড়ান্ত হয়নি। মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা দিয়ে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভূক্ত হওয়া যাবে। দাতা মারা গেলে তার নমিনি পেনশন পাবেন চাঁদাদাতার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত। ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন চাঁদাদাতা। ১০ বছর চাঁদা পরিশোধের পর তারা আজীবন পেনশন পাওয়া শুরু করবেন।
অস্বচ্ছল ও দারিদ্রসীমার নিচে থাকা ব্যক্তিদের মাসিক চাঁদা ৫০০ টাকার বিপরীতে সরকার দেবে আরও ৫০০ টাকা। বেসরকারিখাতের চাকরিজীবীদের চাঁদার হার সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা হবে। কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ এবং মালিকপক্ষ ৫০ শতাংশ চাঁদা বহন করবে।
একজন পেনশনার আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। তবে পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে তার নমিনি অবশিষ্ট সময়ের জন্য (মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।
এই পেনশন ব্যবস্থার সবকিছু তত্ত্বাবধান করবে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক। চাঁদার সব টাকা জমা হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোষাগারে।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে কোনো চাঁদাদাতা যদি চাঁদা দেওয়ার জন্য অসমর্থ হয়ে পড়েন, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির নমিনি বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উত্তরাধিকারীর ওপর কর্মসূচির স্বত্ব ন্যস্ত করতে পারবে। তাঁরা কর্মসূচিটি চালিয়ে নিতে পারবেন এবং মেয়াদ শেষে পেনশন ভোগ করতে পারবেন। চাঁদাদাতা নিখোঁজ হয়ে গেলে নমিনি বা উত্তরাধিকারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পেনশন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং কর্মসূচি চালিয়ে নিতে পারবেন। নিখোঁজ হওয়ার সাত বছর পার হওয়ার মধ্যে চাঁদাদাতা ফিরে না এলে তাঁর কর্মসূচিটি স্থগিত করা হবে।
চাঁদাদাতা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসমর্থ হয়ে গেলে এবং অসামর্থ্যের কারণে কর্মহীন ও উপার্জনে অক্ষম হয়ে পড়লে চাঁদাদাতাকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করতে হবে। তখন তাঁকে অসচ্ছল চাঁদাদাতা হিসেবে ঘোষণা দেবে পেনশন কর্তৃপক্ষ।
সূত্র – বৈশাখী অনলাইন