প্রকাশ: ৪ আগস্ট, ২০২৩ ৩:১৩ : অপরাহ্ণ
গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারের লেনদেন ৪শ’ থেকে ৬শ’ কোটি টাকার ঘরে আটকে ছিল। প্রায় এক বছর ধরে শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোর প্রাইসের কারণে লেনদেনের স্বাভাবিক গতি আটকে রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। যা পুঁজিবাজারের জন্য উদ্বেগের। তাই ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া এবং বাজারে কারসাজি হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন তারা।
গত সপ্তাহে দুই কার্যদিবসে পুঁজিবাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে আবার দরপতন হয়েছে। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়। একই সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন কমে পাঁচশ কোটি টাকার নিচে নেমে আসে। শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে। আর আগের দিনের চেয়ে ১৫৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা কমে লেনদেন হয়েছে ৪৮৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। যা ১৮ই জুনের পর ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করায় লেনদেনের স্বাভাবিক গতি আটকে আছে। এতে বিনিয়োগ বাড়ছে না।
ফ্লোর প্রাইস তুলে না দিলে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে না বলে মনে করেন তারা।
গত সপ্তাহের শেষ দিনে ডিএসইতে ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৮টির। আর ১৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।