প্রকাশ: ৩ আগস্ট, ২০২৩ ২:৫৫ : অপরাহ্ণ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পাঁচশ’ একরেরও বেশি চিংড়ি ঘেরের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। সকাল থেকেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আঁচড়ে পড়ছে পানি।
জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঝাউগাছ উপড়ে পড়ছে। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট সুগন্ধা পয়েন্ট কলাতলী ও ডায়াবেটিক পয়েন্টে জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জোয়ারের পানি সৈকতে অবস্থিত ট্যুরিস্ট পুলিশের টাওয়ার বক্সের কাছাকাছি চলে আসছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সৈকতে আসা পর্যটকদের সতর্কতার সাথে গোসল করতে বলা হয়েছে। সৈকতে আসা পর্যটকদের গভীর পানিতে গোসল করতে নিষেধ করা হয়েছে। লাইফ গার্ড কর্মীরা পর্যটকদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সূত্র – নিউজ ২৪ অনলাইন