প্রকাশ: ৩১ জুলাই, ২০২৩ ১১:৩৬ : পূর্বাহ্ণ
ভারতের সাথে ছিটমহল বিনিময়ের অষ্টম বর্ষপূর্তি আজ। ২০১৫ সালের এ’দিন মধ্যরাতের পর থেকে বিলুপ্ত হয় ছিটমহল। যার ফলশ্র“তিতে ১৭ হাজার একরেরও বেশি আয়তনের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্ত হয়। এই আট বছরে দেশের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত হওয়ায় একেবারে পাল্টে গেছে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর জীবনযাত্রা।
আজ ৩১শে জুলাই, ৮ বছর আগের এই দিনটি ছিলো ছিটমহলবাসীদের গ্লানি ভোলার দিন। বাংলাদেশের ভেতরে থাকলেও একসময়ের ভারতীয় ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন মৌলিক ও নাগরিক অধিকার বঞ্চিত ছিল। ১৭ হাজার ১৬০ একর এলাকায় বসবাসরত ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ ভুগতো আত্মপরিচয়ের সংকটে। তবে এসব ছিটমহল বিলুপ্ত করে বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্ত করার পর থেকেই বদলাতে থাকে তাদের জীবনযাত্রার মান।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালের ৩১শে জুলাই মধ্যরাতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও পহেলা আগস্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ছিটমহল বিলুপ্ত হয়। লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দারা দেখে নতুন এক ভোর। ছিটমহলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়া। এই জনপদে এখন রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, ডিজিটাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মসজিদ, মন্দিরসহ শতভাগ বিদ্যুৎ ও স্যানিটারি সুবিধা।
ছিটমহল বিলুপ্তির ৮ম বর্ষপূর্তি তাই নানা আয়োজনে পালন করছে এখানকার বাসিন্দারা।ইতিহাসের অংশ হয়ে যাওয়া দাসিয়াছড়ায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
এদিকে, লালমনিরহাটের ৫৯টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাস্তাঘাট নির্মাণসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ চলছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় চারটি ছিটমহলের বাসিন্দাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।এসব এলাকায় বসবাসরতদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র – বৈশাখী অনলাইন