চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজদিখানে ১৮ বছরের কিশোরী ও তার মাকে মেরে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

প্রকাশ: ৩০ জুলাই, ২০২৩ ১০:২০ : অপরাহ্ণ

আনিস রহমান রুবেল,বিভাগীয় প্রধান ঢাকা।:মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন মেয়ে ও মাকে মেরে আহত ও শ্নীনতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার ১১.৩০ মিনিটের  দিকে উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের উত্তর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

হামলায় আহতরা হলেন, ফাতেমা বেগম (৪০) তার মেয়ে মুনা আক্তার (১৮)। তাদেরকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে

কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন এবং তার মেয়ে মুনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নির্যাতনের শিকার ফাতেমা বেগমের
স্বজনেরা জানান, মধ্যপাড়া ইউনিয়নের উত্তর মধ্যপাড়া গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ড পাড়জা এলাকার মিন্নাত খন্দকারের স্ত্রী ফাতেমার সাথে প্রতিবেশী পিংকি ও সেলিম খন্দকারের সাথে

দীর্ঘদিন ধরে সরকারি টিউবওয়েলর পানি আনতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে কয়েকবার মীমাংস হয়েছে।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেন।

 

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রু তাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার (২৫ জুলাই ) দুপুর সাড়ে ১১.৩০মিনিটে পিংকি ও সেলিম খন্দকারের পক্ষ হয়ে একই

এলাকার আব্বাসের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪০), রাশেদার মেয়ে রিয়াতা (২০),  রাশেদার ছোটবোন জুলেখা বেগম (৩০), আন্নাছ তালুকদারের ছেলে ফাহিম তালুকদার (২৮),

নাগর খন্দকারের ছেলে সেলিম (২৭) সেলিমের স্ত্রী পিংকি (২৫) সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে  ফাতেমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে শুরু করে। এ সময় তার মেয়ে মুনা আক্তার ঠেকাতে

গেলে তাকেও মেরে গুরুতর জখম করে এবং তাদের শ্লীলতাহানি ঘটায়।তাদের ঘলায় থাকা ৮ আনা ওজনের  স্বর্নের চেইন নিয়ে যায়।

 

এবিষয়ে সিরাজদিখান থানার সব ইন্সপেক্টর মাহাবুব রহমান জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় এবং আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াদিন।

 

Print Friendly and PDF