প্রকাশ: ৩০ জুলাই, ২০২৩ ১০:১০ : পূর্বাহ্ণ
কেঁচোর মাধ্যমে সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার এক নারী। তার খামারে কর্মসংস্থানও হয়েছে অন্যদের। রিনা বেগম নামে সেই নারীর খামারে উৎপাদিত জৈব সার স্থানীয় পর্যায়ে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে ভূমিকা রাখছে। তার সফলতা দেখে অনেকেই এখন ঝুঁকছেন এই সার উৎপাদনের দিকে। সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে রিনা বেগম পেয়েছেন বিভাগীয় জয়িতা সম্মাননা।
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরচান্দা গ্রামের রিনা বেগম। ২০১৪ সালে কৃষি অফিস থেকে তিন কেজি কেঁচো ও ৭টি চাড়ি নিয়ে শুরু করেন জৈব সার উৎপাদনের খামার। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ৫০০টিরও বেশি চাড়ি ও ১৫টি পাকা হাউজ। যার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে জৈব সার।
প্রতি মাসে তার এই খামারে উৎপাদিত হচ্ছে চার হাজার কেজি জৈব সার। বিক্রি করে লাভ হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া, প্রজননের মাধ্যমে কেঁচোর উৎপাদন বাড়িয়ে প্রথম চার বছরে বিক্রি করেছেন ৪ লাখ টাকার কেঁচো। রিনা বেগমের খামারে কাজ করছে চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক।
রিনা বেগমের সফলতা দেখে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছেন জৈব সারের খামার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন জানালেন, এই ধরনের সার ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
উৎপাদন খরচ কম, গুনগত মান ভাল ও মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সার উৎপাদন ও ব্যবহারে ঝুঁকছে এই অঞ্চলের কৃষকরা।
সূত্র – বৈশাখী অনলাইন