প্রকাশ: ৩০ জুলাই, ২০২৩ ২:৫৮ : অপরাহ্ণ
মুসল্লি, ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম হয়। এগুলো থেকে মানুষ যেন বিরত থাকে সেজন্য আপনাদের খুতবায় সচেতন করবেন। যেমন বাল্যবিবাহ রোধ করা, শিক্ষার প্রতি যেন সবাই আন্তরিক হয়, জঙ্গিবাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কারো ছেলে-মেয়ে যেন সম্পৃক্ত না হয়। ইসলামের নামে জঙ্গিবাদি কার্যক্রম করে ইসলামের সুনাম নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে, মুষ্টিমেয় কয়েকটি মানুষের জন্য আমাদের পবিত্র ধর্ম বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, সেটা যেন না হয়।
জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস আমাদের জিরো টলারেন্স, কোনোভাবে আমরা তা সহ্য করব না। এই পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে না।
রোববার (৩০ জুলাই) সকালে পঞ্চম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর ইসলামের নাম নিয়ে অনেকে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ইসলাম ধর্ম প্রচার-প্রসারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, ’৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করি তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব কোনো ভবন ছিল না। আমি ১০তলা ভবন নির্মাণ করে দেই। সব জেলায় স্থায়ী অফিস ছিল না, মাত্র ৩৪টি জেলায় অফিস ছিল। আমি সরকারে আসার পর প্রতিটি জেলায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের জন্য অফিসের ব্যবস্থা করে দেই ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমি যখন বায়তুল মোকাররম মসজিদকে উন্নত করার জন্য প্রকল্প নিলাম, কাজ শুরু করলাম, সেখানে আমাদের মহিলাদের নামাজের সুব্যবস্থা, পুরুষদের নামাজের সুব্যবস্থা, অজুখানা থেকে শুরু করে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা, মিনার তৈরি করে দিচ্ছি, তখন ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এই মসজিদের কাজ বন্ধ করে দেয়। আমরা যতটুকু কাজ করেছিলাম ততটুকু পড়ে থাকে। এটি অত্যন্ত দুঃখদায়ক একটা ঘটনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আট বছর পর যখন আমরা ক্ষমতায় এসে বায়তুল মোকাররম মসজিদকে আবার পুনর্নির্মাণ করে উদ্বোধন করি, এখানে আমাদেরকে সৌদি সরকারও সহায়তা করে। শুধু বায়তুল মোকাররম মসজিদ না, ক্যান্টনমেন্টে একটি বড় মসজিদের কাজ শুরু করছিলাম, তখন খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল এত বড় মসজিদে কে যাবে নামাজ পড়তে? মিনারগুলো তৈরি করতে দেয়নি। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মসজিদটা নির্মাণ করি। ইসলাম ধর্মের নামে রাজনীতি করে কিন্তু ধর্মীয় কাজে তাদের কোনো আন্তরিকতা ছিল না। যা ছিল শুধু দেখানো।
সরকারপ্রধান বলেন, তাদের (বিএনপি) চরিত্র তো জানেন, তারা অগ্নিসন্ত্রাসী। গতকালকেও দেখেছেন। কতগুলো বাস পুড়িয়েছে। এর আগে জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গতকালকেও তাদের ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসী রূপ আবার দেখলাম। বাংলাদেশের যেন এ ধরনের সন্ত্রাসীরা ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য সবার কাছে আমার আহ্বান থাকলো।
এ সময় পঞ্চম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র – নিউজ ২৪ অনলাইন