প্রকাশ: ২৮ জুলাই, ২০২৩ ২:৫৭ : অপরাহ্ণ
শিল্পের কাচামাল ও অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে আমদানি করা ভারী যন্ত্রপাতি খালাসে চট্টগ্রাম বন্দরে নানা জটিলতার শিকার হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। বন্দরের জেটিতে সর্বোচ্চ ৪০ টন ওজনের পণ্য খালাসের ব্যবস্থা আছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সার কারখানা, সেতুসহ বড় বড় প্রকল্পের ভারী যন্ত্রপাতি ও পণ্য খালাসে বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এতে বাড়তি জাহাজ ভাড়া গুনতে হয়, সময়েরও অচয় হয়। তাই ভারী পণ্য নামানোর জন্য নতুন জেটি নির্মাণের দাবি ব্যবসায়ীদের।
গত এক দশক ধরে দেশের অবকাঠামো খাতে বড় বড় উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। পদ্মা সেতু, পদ্মা রেল সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, সার কারখানা, এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণসহ বাস্তবায়ন হচ্ছে বহু প্রকল্প।
চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯টি জেটি থাকলেও ভারী যন্ত্রপাতি ও পণ্য খালাসের উপযোগী নয়। এসব প্রকল্পের অতি ভারী পণ্য নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল জেটিতে নামানো হয়। কারণ এটি নতুন ও তুলনামুলক শক্ত। এখানে ভারী পণ্য ও যন্ত্রপাতি খালাসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের।
এদিকে বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ভারী পণ্য খালাসের জন্য নির্দিষ্ট জেটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জেটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের। তার আগ পর্যন্ত ভারী পণ্য খালাসে বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সূত্র – বৈশাখী অনলাইন