চট্টগ্রাম, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাকবি কায়কোবাদের ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশ: ২১ জুলাই, ২০২৩ ২:২৪ : অপরাহ্ণ

কে ওই শুনাল মোরে- আযানের ধ্বনি- মর্মে মর্মে সেই সুর- বাজিল কি সুমধুর- আকুল হইল প্রাণ- নাচিল ধমনী-কি মধুর আযানের ধ্বনি!- বিখ্যাত সেই ‘আযান’ কবিতার লেখক মহাকবি কায়কোবাদের আজ ৭২তম মৃত্যুবাষির্কী।

মহান ভাষা আন্দোলনের পূর্ব বছরে ১৯৫১ সালে ২১ জুলাই তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। পুরাতন আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন হয়। তিনি দীর্ঘজীবন লাভ করেছিলেন। জীবনের সুদীর্ঘ ৮২ বছরই তিনি সাহিত্য চর্চা করেছেন।

 

 

প্রকৃত নাম কাজেম আল কোরায়শী। লিখতেন মুন্সী কায়কোবাদ নামে। মহাকাব্য ছাড়াও আধুনিক শুদ্ধ বাংলায় গীতিকাব্য, কাহিনী কাব্য, কাব্য উপন্যাস রচনা করে গেছেন তিনি।

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম মহাকাব্য রচয়িতা হচ্ছেন ঊনিশ শতকের কবি মাইকেল মধুসূধন দত্ত। পরবর্তীকালে তার ধারা অনুসরণ করে যারা মহাকাব্য রচনা করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কায়কোবাদ।

অল্প বয়সেই তার সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে। মাত্র তেরো বছর বয়সে প্রথম কাব্য ‘বিরহবিলাপ’ প্রকাশিত হয়। এ কাব্যে তিনি পিতা-মাতার বিয়োগ ব্যথা প্রকাশের মাধ্যমে মানুষের জীবনের কষ্টকে পরম সহানুভূতির সাথে তুলে ধরেছেন। কাব্যটি প্রকাশিত হবার পর সর্বমহলে তিনি প্রশংসিত হন।

 

 

তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- কুসুম কানন, অশ্রুমালা, শিবমন্দির, অমিয়ধারা, শ্মশান ভস্ম, মহররম শরীফ, প্রেমের ফুল, প্রেমের বাণী, প্রেম-পরিজাত, মন্দাকিণী-ধারা ও গওছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ ইত্যাদি।

বাংলা কাব্য সাহিত্যে অবদানের জন্য নিখিল ভারত সাহিত্য সংঘ তাকে ‘কাব্যভূষণ’, ‘বিদ্যাভূষণ’ ও ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করেন।

মহাকবির জন্ম ১৮৫৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নবাবগঞ্জের আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে। এই ১৮৫৭ সালেই হয়েছিলো ঐতিহাসিক সিপাহী বিপ্লব।

 

 

সূত্র – বৈশাখী  অনলাইন

Print Friendly and PDF