চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাম বেড়েছে মাছের, কমেছে মুরগির

প্রকাশ: ২১ জুলাই, ২০২৩ ৪:১৯ : অপরাহ্ণ

বর্ষায় এখন ভরা মৌসুম চললেও বাজারে কমেনি মাছের দাম। বরং তা আরও বেড়েছে। তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সাধ থাকলেও সাধ্যের মধ্যে মাছ-মাংস কিনতে পারছেন মধ্য ও নিন্মবিত্তের ক্রেতারা। পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, সিলভার কাপের মতো মাছের দামও কেজিপ্রতি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

 

 

রামপুরার মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে তেলাপিয়ার কেজি ২২০ থেকে ২৬০ টাকা, পাঙ্গাশের কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, সিলভার কাপ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। অথছ কিছুদিন আগেও এ তিন পদের মাছের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকার কম ছিল। আর এ জাতীয় মাছেই আমিষের চাহিদা মিটতো নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের। কিন্তু দাম বাড়ায় সেটিও এখন তাদের পাতে জুটছে না।

 

 

শুধু পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া বা সিলভারই নয়, সপ্তাহের ব্যবধানে অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি চাষের নলা মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা আর আকারভেদে রুই-কাতলা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া চিংড়ি মাছের মধ্যে ছোট আকারের প্রতি কেজির দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। মাঝারি আকারের প্রতি কেজি ৯০০ থেকে হাজার টাকার বেশি। আর আকারে বড় হলে ক্রেতাকে কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে ১২০০ টাকারও বেশি।

অন্যদিকে ইলিশ মাছের দামও আকাশছোঁয়া। প্রজনন মৌসুম হিসেবে গত ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলছে। তাই বাজারে ইলিশের সরবরাহও কম। এক কেজির কম ওজনের অর্থাৎ ৮০০ গ্রামের একটি ইলিশ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দামও কমে আসবে।

 

 

তবে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ১৯০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। গত সপ্তাহ লেয়ার মুরগির কেজি ছিল ৩৮০ টাকা।

মিরপুর ১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, এ সপ্তাহে বাজারে মুরগির দাম কম। উৎপাদন ভালো থাকায় ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির দাম কমেছে।

বাজারে গরুর মাংসের দাম বেশি। ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি দরে।

 

 

মিরপুর ১১ নম্বরের মাংস বিক্রেতা মো. মাহাতাব বলেন, বাজারে গরুর মাংসের দাম একটু কম আছে। অন্য সব বাজারে বিক্রেতারা সুযোগ পেলেই গরুর মাংস বিক্রি করছে ৮০০ টাকায়। এই বাজারে কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাংস। বেশি দামে বিক্রি করলে মানুষ খেতে পারে না। বিবেকে বাধে, কীভাবে দাম বাড়াই বলেন?

 

 

সূত্র – নিউজ ২৪ অনলাইন

Print Friendly and PDF