চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১ জুলাই, ২০২৩ ১২:৫৬ : অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার সমাজের সব পর্যায়ে নারী ও কন্যাশিশুর গঠনমূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ই জুলাই) ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জেন্ডার সমতাই শক্তি : নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’।

 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র ও জনজীবনের সব ক্ষেত্রে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও জেন্ডার সমতা অর্থাৎ নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারী উন্নয়নের প্রক্রিয়া শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের সরকার নারী ও কন্যাশিশুর অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিতে বিবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নসংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণ সনদ, বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশনসহ সব আন্তর্জাতিক সনদ ও পদক্ষেপ অনুসরণ করে সরকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, সুস্থ-সবল জাতি গঠনের জন্য মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবাসংক্রান্ত কর্মসূচির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে নারী ও কন্যাশিশুর অপার সম্ভাবনাসমূহ কাজে লাগানো এখন সময়ের দাবি। এই কার্যক্রমে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন, গণমাধ্যম, সচেতন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশকে প্রতিটি সেক্টরে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করি। আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে জনসংখ্যাবিষয়ক বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা, পরিকল্পিত পরিবার গঠন, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, স্বাভাবিক প্রসবসংক্রান্ত সবধরনের সেবা, বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবা এবং আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহীতার হার বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়সমূহকে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

নিরাপদ মাতৃত্ব, কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য, নারী শিক্ষা ও নারী কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছি। এর ফলে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

 

 

সূত্র – বৈশাখী   অনলাইন

Print Friendly and PDF