প্রকাশ: ৮ জুলাই, ২০২৩ ২:২১ : অপরাহ্ণ
আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের দ্বন্দের মধ্যেই গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকারিতা সরেজমিন পুনঃযাচাই করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আগামী সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে পুরানা পল্টনে দলটির অফিসে রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে থাকতে বলেছে ইসির ‘রাজনৈতিক দলের তথ্য পুনঃযাচাই কমিটি’। ইসি সচিবালয়ের এ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে দুই পক্ষই।
উভয়পক্ষকে চিঠি দিলেও এ পুনঃযাচাইয়ের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কোন্দলের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তথ্য পুনঃযাচাই কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব (আইন) আব্দুছ সালাম বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের পুনঃযাচাই করতে বলেছে। এটা সঙ্গে দলটির পাল্টাপাল্টি অবস্থানের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমাদের কাছে আহ্বায়ক-সদস্য সচিব হিসেবে রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুর রয়েছে, তাদের দুই পক্ষকে বুধবার চিঠি দেয়া হয়েছে।
উপ-সচিব সালাম জানান, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকারিতা এবং অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত তথ্য তারা ১০ জুলাই পুনঃযাচাই করবেন। এ দিন নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট দলের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও দপ্তর সম্পাদককে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তসহ উপস্থিত থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, দুই বছর আগে গণঅধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশের সময় রেজা কিবরিয়া আহ্বায়ক এবং নুর সদস্য সচিবের দায়িত্ব নেন। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে আবেদন জমা দেয়ার পর জাতীয় নির্বাচনের আগে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
গত মাসের মাঝামাঝিতে রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খাঁনকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ঘোষণা দেন নুর। এর পাল্টাপাল্টিতে নুরকেও সদস্য সচিবের পদ থেকে সরিয়ে হাসান আল মামুনকে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করার ঘোষণা দেন রেজা কিবরিয়া।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দল নিবন্ধন পাওয়ার দৌড়ে রয়েছে ১২টি দল। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকারিতা পর্যায়ক্রমে পুনঃযাচাই হচ্ছে। চলতি মাসে নতুন দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলো দলীয় পরিচয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। তাদের জন্য প্রতীক সংরক্ষিত থাকে।
সূত্র – চ্যানেল২৪