চট্টগ্রাম, রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

প্রকাশ: ৭ জুলাই, ২০২৩ ৪:১৭ : অপরাহ্ণ

বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়ায় দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার সাথে সাথে তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙন। লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর ও কৃষিজমি। এদিকে, দেশের  উপক‚লীয় জেলাগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

 

উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। সেই সাথে অন্যান্য অঞ্চলের নদ-নদীর পানিও কমছে। লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমলেও বেড়েছে ভাঙ্গন। মহিষখোচা, গোবর্ধন, রাজপুর, গোকুন্ডাসহ অন্তত ১০টি গ্রামের বাড়িঘর, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে। ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় সুনামগঞ্জে জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে এখনো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

 

এদিকে, নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ডুবে যাওয়া সড়ক ও বসতভিটার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও উব্দাখালি নদীর পানি কলমাকন্দা পয়েন্টে এখনো বিপদ সীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

অন্যদিকে, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহওয়া অফিস। এই অবস্থায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।

 

 

সূত্র –বৈশাখী অনলাইন

Print Friendly and PDF