প্রকাশ: ৬ জুলাই, ২০২৩ ২:৫৯ : অপরাহ্ণ
হিরো আলম জানিয়েছেন তাঁর পেছনে দুজন মেয়ে লেগেছে। তারা নিজে থেকে কিছু করছে না, তাদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি এক নায়িকা হিরো আলমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘শুধু রিয়া নয়, আমার পেছনে দুজন মেয়ে লেগেছে। আমি মনে করি, তারা নিজে থেকে কিছু করছে না, তাদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগে আমার পক্ষে ভালো ভালো কথা বলল। আর ঠিক নির্বাচনের আগে উল্টাপাল্টা কথা কীভাবে বলে? এতেই বোঝা যাচ্ছে, তাদের কেউ লেলিয়ে দিয়েছে। ’
বগুড়ায় উপনির্বাচন করে সবার নজর কাড়েন হিরো আলম। সেখানে দুটি আসনে উপনির্বাচন করে একটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন তিনি। এবার ঢাকা-১৭ আসনে ভোটার না হয়েও নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফের প্রাদপ্রদীপের আলোয় এসেছেন। ওই আসনে তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতসহ সাত প্রার্থী। ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন নিয়ে নিজের ভাবনা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
সুষ্ঠু ভোট হলে ঢাকা-১৭ আসনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আস্থা হারিয়ে গেছে। নির্বাচন করেও যা, না করেও তা। এবারও একতরফা হয়তো ভোট হয়ে যাবে। তার পরও আমি জয়ের আশায় আছি। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তা হলে আমি শতভাগ জয়ী হব। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে, ভোটাররা যদি ঘর থেকে বের হয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে, তা হলে আমি জয়ী হব। ১০০ পার্সেন্ট পাস করব, আমি আশা রাখছি। ’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। জনগণ আমাকে কথা দিয়েছে। আমার জন্য তারা অনেক কিছু করেছে। বড় বড় কথা বা ওয়াদা দিয়ে আমি জনগণের কাছ থেকে ভোট নেব না। ’
নির্বাচনে দুই কারণে অংশ নিচ্ছেন বলে জানান হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘প্রথমত হচ্ছে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চাই। ঘুমন্ত মানুষকে জাগাতে চাই। আমি নির্বাচনে থাকা মানে, ১০টা লোকের নজরে থাকা। নির্বাচনটা কেমন হচ্ছে? ঘুমন্ত মানুষকে জাগিয়ে এটাই বোঝাতে চাই—আপনারা আসুন, মাঠে নামুন। নির্বাচন করুন। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন। এ দেশটাকে বাঁচাতে চাইলে আপনাকে নির্বাচনে আসতে হবে, নির্বাচন করতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। তা হলে দেখবেন দেশটা ঘুরে দাঁড়াবে। তাই সবকিছু ঠিক রেখে নির্বাচন করছি—মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্য। আরেকটি হলো—দেশে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না, সেটি আমি প্রমাণ করে দিতে চাই। ’
হিরো আলম বলেন, ‘দেখুন, অনেক সময় আমাকে যারা দুর্বল ভাবছে বা হাস্যকরভাবে উপস্থাপন করছে, তারা কিন্তু জানে না যে, পচা শামুকেও পা কাটে। তাদের উদ্দেশে একটা কথা বলতে চাই— যারা আমাকে একজন প্রার্থীর (আরাফাত) সঙ্গে তুলনা করছে সবার কাছে একটা অনুরোধ করছি— আপনারা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। আমি দেখতে চাই, সে কত বড় প্রার্থী। সে কত বড় শক্তিশালী। সুষ্ঠু একটা নির্বাচন দিয়ে ভোটের মাঠে পারলে হিরো আলমকে হারাক। ’
তিনি বলেন, ‘বিনোদন জগতে কাজ করছি, কাজ করব। সেটি অব্যাহত থাকবে। আর জনগণের সেবার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আলোচনায় থাকতে চাই। ’
নির্বাচনে ঢাকার উৎস নিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘এটা ভুল ধারণা, মানুষ যে কথা বলে নির্বাচন করলে টাকা লাগে। আপনি যখন দুর্বল হবেন, তখন আপনার টাকা লাগবে। টাকার বিনিময়ে ভোট করতে হবে। আর জনগণ যদি আপনাকে ভালোবাসে তা হলে টাকা লাগে না। সেখানে জনগণ ভালোবেসে ভোট দেবে। ’
তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি আবারও বলছি— নির্বাচন করতে টাকা লাগে না। বিভিন্নজন বিভিন্ন সহযোগিতা দেয়। যেমন কেউ পোস্টার দেয় কিংবা মাইকিং খরচ দেয়। আর আমি মনে করি, এর বাইরে নির্বাচনে বাড়তি কোনো খরচ নেই। ’
সূত্র – নিউজ ২৪ অনলাইন