চট্টগ্রাম, রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেড়েছে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সব নদীর পানি

প্রকাশ: ২০ জুন, ২০২৩ ৩:২৪ : অপরাহ্ণ

উজানের ঢলে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সবগুলি নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি উঠেছে। তিস্তার পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে লালমনিরহাট, নীলফামারি ও কুড়িগ্রামের নিুাঞ্চল। সুরমা, কুশিয়ারার পানিতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সিলেট, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জেও।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদনদীর পানি আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

তীব্র তাপদাহের পর এবার বন্যার কবলে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল। ভারতের আসামে একটানা ভারি বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নামছে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোতে। এতে উত্তরের কয়েকটি জেলা ও সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে।

 

 

সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিুাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে পাহাড়ি ঢলে। সুরমা নদীর পানি ছাতক ও সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুনামগঞ্জ পয়েন্টে পানি বাড়লেও এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জের হাওরেও পানি বাড়ছে।

এদিকে, দেশের উত্তরাঞ্চলে দ্রুত বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি। তিস্তার পানি বেড়ে লালমনিরহাট, নীলফামারি ও কুড়িগ্রামে নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কুড়িগ্রামের নিচু এলাকার ঘর বাড়ীতে পানি ঢুকেছে। প্লাবিত হচ্ছে ফসলের ক্ষেত।

 

 

নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপদসীমায় উঠানামা করছে। তবে সোমবার বিপদসীমার ওপরে পানি প্রবাহিত হলেও মঙ্গলবার তা কিছুটা কমে বিপদসীমার নিচে নেমেছে।

লালমণিরহাটে ১০টি  গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্ল¬াবিত হয়ে ২০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি হয়ে আছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, উজানে ভারী বৃষ্টির ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। পদ্মা ও যমুনা নদীর পানিও বাড়ছে, যা আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

 

 

সূত্র – বৈশাখী অনলাইন

Print Friendly and PDF