চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১ মাসে হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ১৬০ কোটি টাকা

প্রকাশ: ১৭ জুন, ২০২৩ ১:০৭ : অপরাহ্ণ

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের এগারো মাসে জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণে ঘাটতির পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৫৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অর্থবছরের এই সময়ে ৫৪৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩৮৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। বন্দর দিয়ে শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানির পরিমান কমার কারনেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ি রাজস্ব আহরণ সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বিগত অর্থবছরের তুলনায় খানিকটা বাড়িয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে ৬০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই হিসেব মোতাবেক অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে বন্দর থেকে ৪২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

আগষ্ট মাসে ৪৯ কোটি ৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৩৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে ৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে ৫৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৪৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

 

 

ডিসেম্বর মাসে ৫০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। জানুয়ারি মাসে ৪৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মার্চ মাসে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, এপ্রিল মাসে ৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে। মে মাসে ৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

 

 

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ি হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ না হওয়ার একমাত্র কারনই হলো বন্দর দিয়ে অধিক শুল্কযুক্ত যেসব পণ্য আমদানি হতো সেসব পণ্যের আমদানির পরিমান কমে গিয়েছে। অর্থবছর শেষ হতে আর মাত্র দু’সপ্তাহের চেয়ে কম সময় রয়েছে বর্তমানে রাজস্ব আহরণের যে ধারা তাতে করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে না। পূর্বের তুলনায় বন্দর দিয়ে জিরার আমদানি কমে গিয়েছে।

 

 

এছাড়া এলাচের আমদানি আগের তুলনায় কমে এসেছে। এরপর পাথর আমদানির পরিমান কমে গিয়েছে। পূর্বে প্রচুর পরিমানে ফুচকা আমদানি হলেও বর্তমানে ফুচকার আমদানি একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করার কারনেও রাজস্ব আয় কমেছে। যার কারনেই এনবিআর নির্ধারিত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। তবে দু’মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধের পর আবারো এই মাস থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু রয়েছে। তাতে করে এমাসে রাজস্ব আহরণ পূর্বের চেয়ে কিছুটা বাড়তে পারে। তবে তা দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় তবে আমরা চেষ্টা করছি লক্ষ্যমাত্রার যতটা কাছাকাছি যাওয়া যায়।

 

 

সূত্র – চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF