প্রকাশ: ১৫ জুন, ২০২৩ ১১:১৮ : পূর্বাহ্ণ
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে আরব সাগর। কিছুটা শক্তি হারিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ভারতের গুজরাট ও পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
এরই মধ্যে ভারতের গুজরাটের দ্বারকা গুমতিঘাট এলাকায় ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সাগরে বন্যা দেখা দিয়েছে এবং ঢেউয়ের উচ্চতা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। গুজরাটের উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে বন্যার সতর্কতা।
সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ ও রাজকোটে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল ও বন্দরের কার্যক্রম। বিপর্যয়ের প্রভাবে মহারাষ্ট্রের কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টিসহ উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের ঢেউ বিশাল আকার ধারণ করেছে।
পাকিস্তানের এক লাখ মানুষকে অস্থায়ী ত্রানকেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে করাচির উপকূলীয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। এর ফলে সাগরে ঢেউয়ের উচ্চতা ৩৫ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত বাড়ছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এনডিএমএর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির উপকূলীয় এলাকা কাটি বন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সংস্থাটির মতে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় করাচি থেকে ৩৫০ কিলোমিটার এবং ঠাঠা থেকে থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকে অবস্থান করলেও আজ এটি উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাবে এবং কাটি বন্দর ও গুজরাট রাজ্য অতিক্রম করবে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ-এনডিএমএ উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।
সবশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ জুন সকালে উত্তর দিকেই অবস্থান করবে এবং এর পরে এটি পূর্ব দিকে সরে গিয়ে সিন্ধু প্রদেশের উপকূলীয় এলাকা কাটি বন্দরে আঘাত হানতে পারে। তার আগে এটি ভারতের গুজরাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ে পাকিস্তানের ঠাঠা, বাদিন, সাজাওয়াল, থারপারকার, করাচি, মিরপুরখাস, উমারকোট, হায়েদরাবাদ, ওরমারা, টান্ডো আল্লাহইয়ার খান এবং টান্ডো মোহাম্মাদ খান আক্রান্ত হতে পারে।
এনডিএমএ বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে দমকা বাতাস, ভারী বৃষ্টি এবং সাময়িক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সরকার কাটি বন্দর, ঠাঠা ও বাদিন উপকূলীয় এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের ভবন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ করাচির ৫৭৮টি ভবনকে অনিরাপদ ঘোষণা করেছে।