প্রকাশ: ১৪ জুন, ২০২৩ ৩:২০ : অপরাহ্ণ
বিশ্বের বড় আয়তনের দেশগুলোকে পেছনে ফেলে ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনের তালিকায় শীর্ষ দশে অবস্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিষয়টিকে সুখবর বলছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা। তবে এ ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষকদের ভর্তুকি এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ তাদের।
করোনা মহামারীর রেশ কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যা সারাবিশ্বের খাদ্য শৃঙ্খলেই ফেলেছে নেতিবাচক প্রভাব।
তবে এমন অবস্থাতেও থেমে থাকেননি দেশের কৃষকরা। ভয়-ডর উপেক্ষা করেই ছুটে গেছেন ফসলের মাঠে। ফলিয়েছেন সোনার ফসল।
তাদের এ হাড়ভাঙা শ্রমের কারণেই কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বের বড় দেশগুলোকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। আয়তনে ছোট হলেও জায়গা করে নিয়েছে সেরা দশে।
এ তথ্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ফাও’র। চাল, পেঁয়াজ, মরিচ, কুমড়া, ফুলকপি, ব্রোকলিসহ ২২টি খাদ্যপণ্যের তালিকা প্রকাশ করে সংগঠনটি দেখিয়েছে এ খাতের অগ্রগতির তুলনামূলক চিত্র।
এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিমসন বলেন, পুষ্টি, নিরাপত্তা, মান নিয়ন্ত্রণ এবং ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির বিষয়টি মাথায় রেখেই এ প্রতিবেদন তৈরি করে এফএও। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের প্রধান ফসল চিহ্নিত করাও এর লক্ষ্য। বাংলাদেশ এ খাতে অনেক ভালো করেছে। তবে আরও বেশি উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে।
অবস্থান নির্ধারণী এ প্রতিবেদনকে সুখবর হিসেবে দেখছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা। তবে একে টেকসই করতে উৎপাদন আরও বাড়ানো এবং কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির দিকে আরও বেশি নজর দেয়ার পরামর্শ তাদের।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, জনবহুল এদেশে যত বেশি ফসল উৎপাদন হয়, তত আমাদের প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হয়। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। এজন্য কৃষদের আরও বেশি সহায়তা দিতে হবে। তারা যাতে ন্যায্যমূল্য পায়, সেটার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।
২০১১ সালে প্রকাশিত একই প্রতিবেদনে শীর্ষ দশে ছিল বাংলাদেশের ১৭টি পণ্য।