শুক্রবার (৯ জুন) রাতে মরক্কো থেকে কাতারের দোহা হয়ে ঢাকায় আসার পর শনিবার (১০ জুন) ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। জব্দকৃত কোকেনের আনুমানিক দাম ১২ কোটি টাকা।

এ ঘটনায় কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুল বারী বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় রোববার (১১ জুন) গ্রেপ্তার নারীকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তার বাড়ি ভারতের মিজোরাম রাজ্যে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী বলেছেন, বেনিনে এক বান্ধবীর মাধ্যমে কোকেনের চালানটি হাতে পান। বাংলাদেশে এক দিন রাখার পর চালানটি নেপাল হয়ে নয়াদিল্লিতে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। ঢাকায় ওই এক দিন থাকার জন্য মুম্বাই থেকে উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে তার জন্য কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনি আন্তর্জাতিক একটি মাদক চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশে থাকা কয়েকজন নাইজেরীয়র সঙ্গেও চক্রটির যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকায় তাদের সঙ্গে তার দেখা হওয়ার কথা ছিল।

ওই নারীর তথ্যে নাইজেরীয় এক যুবকের খোঁজে নেমেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। গ্রেপ্তার নারী এর আগে একাধিকবার পাপুয়া নিউগিনি, ইন্দোনেশিয়া, দুবাইসহ কোকেন পাচার হয় এমন দেশে গেছেন। তিনি মিজোরামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্টেনোগ্রাফার। তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীদের সম্পর্ক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীরা বলছেন, দেশেও ভয়াবহ মাদক কোকেনের বাজার তৈরির পরিকল্পনা ছিল আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানে জড়িত চক্রের গ্রেপ্তার নারী সদস্যের। তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।