চট্টগ্রাম, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ , ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তার ১৮ খাতে বরাদ্দ থাকছে ১৭ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশ: ১ জুন, ২০২৩ ১২:০৩ : অপরাহ্ণ

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য আজ বৃহস্পতিবার ( ১ জুন ) জাতীয় সংসদে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তার মূল ১৮টি কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকছে ১৭ হাজার ৩৯৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডাব্লিউবি) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে বরাদ্দ ১১ কোটি ৩৫ লাখ টন চালের অর্থনৈতিক মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য বরাদ্দ থাকছে ৯ হাজার আট কোটি ৮১ লাখ টাকা। এসব কর্মসূচিতে উপকারভোগী এক কোটি ১৩ লাখ ৭৬ হাজার জন। এ ছাড়া ছয় হাজার ৮৮০ জন হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর এক লাখ ৭৯৭ জনের জীবনমান উন্নয়নে বরাদ্দ থাকছে ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সহায়তায় ৪০ হাজার মানুষের জন্য ২০০ কোটি, ৬০ হাজার চা শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নে ৩০ কোটি ২১ লাখ, মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচিতে ১৩ লাখ চার হাজার উপকারভোগীর জন্য এক হাজার ২৬০ কোটি ৬০ লাখ, তিন লাখ ৮৯ হাজার অতিদরিদ্রের কর্মসংস্থানে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে। ন্যাশনাল সার্ভিসের দুই হাজার ৭১৫ জন উপকারভোগীর জন্য চার কোটি ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকছে।পাঁচ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ও উৎসব ভাতার জন্য। মুক্তিযোদ্ধাদের মহান বিজয় দিবস ও বাংলা নববর্ষ ভাতার জন্য বরাদ্দ থাকছে এক কোটি সাত লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

প্রতিবছর এই মূল কর্মসূচিগুলো নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আলোচনা হয়। সরকারের ছয়টি মন্ত্রণালয় এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে। ফলে প্রতিবছর মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে এই কর্মসূচিরগুলোর পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর এবার অতিদরিদ্রসহ চার শ্রেণির ভাতা বাড়ছে। তিন শ্রেণিতে শুধু উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

 

 

চলতি অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ থাকতে পারে এক লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তার মোট বরাদ্দের তুলনায় মূল কর্মসূচিগুলোতে কম বরাদ্দ ধরা হয়েছে। মূল ১৮টি কর্মসূচির বাইরে চলতি অর্থবছরে আরো ৯৭টি কর্মসূটি ছিল। এর মধ্যে বেশির ভাগ কর্মসূচির কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। ফলে অনেক কর্মসূচিতে কোনো অর্থ ব্যয় হয়নি। ফলে বরাদ্দের ওই টাকা ফেরত যাচ্ছে অর্থ বিভাগে।

 

 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ অর্থের বড় অংশই ব্যয় হয় সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন, সঞ্চয়পত্রের সুদ, সরকার পরিচালিত বিভিন্ন তহবিল এবং সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণসহ ছোটখাটো বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে। আগামী অর্থবছর থেকে পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের সুদ ব্যয়ের অর্থ এই খাতে বরাদ্দ না দেখানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।

 

Print Friendly and PDF