প্রকাশ: ২৬ মে, ২০২৩ ৩:২২ : অপরাহ্ণ
বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পত্র বা আইপি না পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ভারত অভ্যন্তরে রপ্তানির অপেক্ষায় থাকা পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক থেকে পেঁয়াজ খালাস করে নিচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে লোকসানের আশংঙ্কায় এসব পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন রপ্তানিকারকরা।
ভারতের সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট অনিল কুমার বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতির কথা বলেছেন সরকারের দুজন মন্ত্রী। কিছুদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির সেই অনুমতি প্রদান করা হবে বলে গত সপ্তাহ থেকে শোনা যাচ্ছিল। এমন খবরে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা পেঁয়াজ রপ্তানির সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
ইতোমধ্যেই বাংলাদেশী আমদানিকারকদের পেঁয়াজ ক্রয়ের মৌখিক আদেশের ভিত্তিতে পেঁয়াজ ক্রয় করেছিলেন। সেসব পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে রপ্তানির অপেক্ষায় পার্কিংয়ে এসে দাঁড়িয়েছিল। শুধুমাত্র বাংলাদেশে পেঁয়াজের আইপি ইস্যু হলেই এসব পেঁয়াজ রপ্তানি হবে। কিন্তু বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেয়ায় রপ্তানির অপেক্ষায় থাকা ট্রাকবোঝাই পেঁয়াজগুলো গরমে নষ্ট হয়ে লোকসানের আশংঙ্কায় ট্রাক থেকে পেঁয়াজ খালাস করে রপ্তানিকারকরা তাদের গুদামে নামিয়ে রেখেছিলেন।
একসপ্তাহের বেশী সময় হওয়ায় ইতোমধ্যেই গুদাম থেকেও সেসব পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা। সবমিলিয়ে ৩০টি ট্রাকে ১ হাজার টনের মত পেঁয়াজ রপ্তানির অপেক্ষায় প্রস্তুত করে রেখেছিলেন রপ্তানিকারকরা। তবে আইপি ইস্যু হলে নতুন করে পেঁয়াজ ক্রয় করে সেগুলো বাংলাদেশে রপ্তানির সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন রপ্তানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশীয় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করতে গত ১৫ই মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির
অনুমতি দেয়া বন্ধ করে দেয় সরকার। এতে করে ১৬ই মার্চ থেকে হিলি স্থলবন্দরসহ দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখি হয়ে উঠলে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির কথা বলেছেন। তবে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পেঁয়াজ আমদানির কোন ধরণের অনুমতি পত্র বা আইপি ইস্যু করা হয়নি।