চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়তে চায় কাতার

প্রকাশ: ২৪ মে, ২০২৩ ১০:২০ : পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়তে চায় কাতার। সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৩ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জাসিম আল থানি।কাতারের দোহায় র‌্যাফেলস টাওয়ারের দ্বিপাক্ষিক সভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি।

 

 

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী তাকে (শেখ হাসিনা) বলেন, তারা (কাতার) বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চান। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।

 

 

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশ কাতার থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি ক্রয় করে। আমরা চাই আপনি জ্বালানি দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন।’

জবাবে মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বলেন, তারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে কাতার বাংলাদেশের জন্য যতটা সম্ভব করবে।

২০২৩ সালের ফিফা বিশ্বকাপের পর কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা তাদের সম্পদ এবং বন্ধু এবং কাতার তাদের যতটা সম্ভব তাদের দেশে রাখবে।

মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন কাতারের জ্বালানী বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও রুয়ান্ডার প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অতিরিক্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি আলোচনায় আসে।

 

 

প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা কাতার থেকে বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন। কাতার থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত বিদ্যমান ১৫-বছরের চুক্তিটি ২০৩২ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, তবে, ২০২৫ সালের পরে বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি পেতে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।

 

 

মোমেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দরদাম সংক্রান্ত সমস্যা ঠিকঠাক করে অবিলম্বে চুক্তিতে সই করতে বলেছেন। বাংলাদেশকে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বর্ণনা করে এবং যে দেশটি দুঃসময়ে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছিল উল্লেখ করে, তারা (কাতার) প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তারা কাতারের পক্ষে যত দূর সম্ভব সব ধরনের ছাড় দেয়ার কথা বিবেচনা করবে।

 

 

এরপর সৌজন্য সাক্ষাত করেন সৌদি আরবের বিনিয়োগ, অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী। সাক্ষাতে, বাংলাদেশের বিভিন্নখাতে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয় সৌদি আরব। এসময়, বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও, হজ, শিল্প, ঔষধ ও  কৃষিখাতে বাংলাদেশের সহযোগীতা কামনা করেন তারা।

 

Print Friendly and PDF