প্রকাশ: ২৪ মে, ২০২৩ ১০:৫৯ : পূর্বাহ্ণ
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) আসন্ন নির্বাচনে ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১টিকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। আগে যেসব কেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হতো এবার সেগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পুলিশ ও আনসার। এ ছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরীতে বসানো হয়েছে ১৬টি চেকপোস্ট।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যে কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা বেশি, কোনো প্রার্থীর বাড়ির সন্নিকটে ভোট কেন্দ্র কিনা, প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা ও যাতায়াত ব্যবস্থা প্রভৃতি।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার এবং সাধারণ প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ ও ১৫ জন আনসার মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এই সংখ্যা কম বা বেশি হতে পারে।
পুলিশ কমিশনার জানান, নির্বাচনের কাজে ৩ হাজার ৫৬৭ জন পুলিশ, ৩০০ জন আর্মড পুলিশ ও ৪ হাজার ৬৫৭ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বাইরের জেলা থেকে পুলিশ আনতে হতে পারে। কেএমপি সদর দপ্তরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। এ ছাড়া বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের আগে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। লাইসেন্সবিহীন যানবাহন আটকের জন্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। এ ছাড়া নগরীর ৮টি থানার ১৬টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রার্থীদের কর্মকাণ্ডও পুলিশ নজরদারি করছে।
কেএমপির অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে, পরিবেশ যাতে ভালো থাকে সে জন্য আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। নগরীর প্রবেশদ্বারগুলোতে নিয়মিত চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল আটক করা হচ্ছে।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ২৮৯টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২টি ভোট কক্ষের সামনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন এগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা ১০ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৫ দিন দায়িত্ব পালন করবেন।