চট্টগ্রাম, সোমবার, ৬ মে ২০২৪ , ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ার সৌদি বলয়ে ফেরা দু ’দেশের জন্য ইতিবাচক

প্রকাশ: ২০ মে, ২০২৩ ৩:২৮ : অপরাহ্ণ

প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ নেতৃত্বে সিরিয়ার প্রতিনিধিদল ১৩ বছর পর আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। এবারের ৩২তম সম্মেলনটি সৌদি আরবের জেদ্দায় শুরু হয়।

শুক্রবারের শীর্ষ সম্মেলনে আসাদের চূড়ান্ত অংশগ্রহণ ছিল এই মাসের শুরুতে আরব দেশগুলোর জোটে সিরিয়ার ফেরত আসার ফল। দামেস্ক এবং অন্যান্য আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক মেরামতে সৌদি নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বুধবার (১৭ মে) শীর্ষ সম্মেলনের একটি প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তার ভাষণে একটি বিশেষ সমঝোতামূলক সুর তুলে ধরেন।

 

 

তিনি বলেন `আমরা আরব লীগে সিরিয়ার ফেরত আসাকে স্বাগত জানাই। আমাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় নতুন পন্থার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিতে হবে।`

সিরিয়ার আরব বলয়ে প্রত্যাবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে রিয়াদ যা শুরু হয়েছিল গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা দেয়ার মধ্য দিয়ে।

সৌদি আরব এবং সিরিয়া তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালুর আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে ইচ্ছুক। সেই সঙ্গে ফ্লাইট পুনরায় চালু করতে চায় তারা।

 

 

সৌদি আরব ২০১২ সালে আসাদ সরকারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার এই নতুন ধারায় সৌদি প্রথম আরব দেশই নয়, রিয়াদ এখন গোটা মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রবল সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলেছে। এমনটি মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।

 

 

কূটনীতি বিশ্লেষণকারী সংস্থা রিস্ক ইন্টেলিজেন্স (আরএএনই)-এর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রায়ান বোহল আরব নিউজকে বলেন, `আমি মনে করি সৌদি আরব ভালোভাবেই সম্পর্ক `স্বাভাবিককরণ ও বৈরিতা নিরসনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মতো দেশগুলোকে ইতিমধ্যেই সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে, কিন্তু তারা সবাই সৌদি আরবের মধ্যস্থতা ও সহযোগিতা চাইছে।

 

 

এখন থেকে এই অঞ্চলে সৌদি আরব কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধানকারী ও শান্তিস্থাপনে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে আরও বেশি স্বীকৃতি পাবে।`

দীর্ঘ মেয়াদে বোহল আশা করেন, সিরিয়ার পুনর্গঠনের মাধ্যমে রিয়াদ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রভাব আরও শক্তিশালী করতে পারবে।

 

 

কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের কারণে আঞ্চলিক দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠন ও বৈদেশিক বাণিজ্য আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

 

সূত্র: আরব নিউজ

Print Friendly and PDF