প্রকাশ: ২০ মে, ২০২৩ ৫:৩৩ : অপরাহ্ণ
কাতার বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে পাঁচ মাস হলো। এরই মধ্যে ২০২৬ বিশ্বকাপের উন্মাদনা শুরু হয়েছে। যার স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। বিশ্বকাপের ২৩তম আসরটি অনুষ্ঠিত হবে একেবারে নতুন আঙ্গিকে। ইতোমধ্যে আসরটির লোগো উন্মোচন করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। নির্ধারণ হয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালের তারিখও।
কাতার বিশ্বকাপে ৩২ দল অংশ নিলেও ২০২৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে ৪৮টি দল। সেক্ষেত্রে ম্যাচ সংখ্যাও বেড়ে যাবে। কাতারে যেখানে সবমিলে ম্যাচ হয়েছিল ৬৪টি। সেখানে বিশ্বকাপের ২৩তম আসরে ম্যাচ হবে ১০৪টি। এতে করে ফাইনাল খেলা দু’দল ও তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচের দু’দল একটি করে ম্যাচ বেশি খেলার সুযোগ পাবে। কাতারে ৭টি ম্যাচ খেললেও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে খেলবে ৮টি করে ম্যাচ।
ইতোমধ্যে ল্যাতিন আমেরিকা তাদের অঞ্চল থেকে কোয়ালিফাই রাউন্ডের ম্যাচগুলোর সূচি ঘোষণা করেছে। সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে তাদের কোয়ালিফাই রাউন্ড।
২৩তম আসর থেকে দল বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি অঞ্চল থেকেও অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সে হিসেবে আফ্রিকা থেকে সর্বোচ্চ ১০টি দেশ খেলার সুযোগ পাবে। যার মধ্যে ৯টি দেশ সরাসরি খেলবে আর একটি দেশকে প্লে-অফ খেলে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তাই যোগ্যতা অর্জন পর্বের জন্যও বেশি সময় লাগতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে যোগ্যতা অর্জন পর্বে বড় পরিবর্তন এনেছে আফ্রিকা।
পুরোনা নিয়মে আফ্রিকার দেশগুলার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে প্রায় দু’বছর সময় লাগত। দলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই পর্ব শেষ করার জন্য আরও বেশি সময় লাগার সম্ভাবনা ছিল। তাতে ফুটবলের অন্য সূচির ক্ষেত্রেও সমস্যা হতো। কিন্তু নতুন নিয়মে তিন রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন পর্বের বদলে এক রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন পর্ব শুরু করছে আফ্রিকার ফুটবল সংস্থা। নতুন ফরম্যাটে যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলা শেষ করতে মাত্র ছ’মাস মতো সময় কম লাগবে।
এতোদিন আফ্রিকার পাঁচটি দেশ বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেলেও ২০২৬ সাল থেকে খেলতে পারবে সর্বোচ্চ ১০টি দেশ। তাই সদস্য দেশগুলিকে মোট ন’টি গ্রুপে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল। আফ্রিকার ৫৪টি দেশকে ৯টি গ্রুপে ভাগ করে দেয়া হবে।
প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন। ফিফা ক্রমতালিকা অনুযায়ী আগামী ১২ জুলাই ৫৪টি সদস্য দেশকে ৯টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৬টি করে দেশ। দশম স্থানের জন্য লড়াই হবে গ্রুপগুলির সেরা চারটি রানার্সআপ দলের মধ্যে।
আগামী বছর নভেম্বর থেকে শুরু হবে যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলা। ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে অধিকাংশ খেলা শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তা না করা গেলে গ্রুপের খেলা শেষ করার জন্য ২০২৫ সালের মার্চ, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে নির্দিষ্ট তিনটি সময় রাখা হয়েছে।
তারপর ২০২৫ সালের নভেম্বরে সেরা চারটি রানার্সআপ দলকে নিয়ে হবে যোগ্যতা অর্জন পর্বের আরও একটি রাউন্ড। তাদের মধ্যে বিজয়ী দল ২০২৬ সালের মার্চে ফিফার প্লে-অফ খেলার সুযোগ পাবে। সেই প্লে-অফ জিততে পারলে আফ্রিকার ১০নম্বর দেশ হিসাবে আমেরিকা-কানাডা-মেক্সিকো বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাবে তারা।
সূত্র: ডন