চট্টগ্রাম, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাফুফের কর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু: দুদক আইনজীবী

প্রকাশ: ১৬ মে, ২০২৩ ৩:৪৫ : অপরাহ্ণ

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি সালাম মুর্শেদি ও সাবেক সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সহ কর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে হাইকোর্টের আদেশের পর প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী।

মঙ্গলবার (১৬ মে) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান চ্যানেল 24- কে বলেন, মৌখিকভাবে এটি দুদককে জানানো হয়েছে। এখন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবে দুদক।

এর আগে গতকাল সোমবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বাফুফের কর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদককে নির্দেশ দেন।

 

 

এসময় আগামী চার মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সকল বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানি করেন।

এর আগে রোববার (১৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।

 

 

বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে ৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন সায়েদুল হক। এতে ফল না পেয়ে তিনি রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম নিতে অনুসন্ধানে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে ব্যাপারে রুল চাওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ৩ মে দুদকে করা রিট আবেদনকারীর আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে সংস্থাটির (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

 

Print Friendly and PDF