প্রকাশ: ১১ মে, ২০২৩ ১০:৪৬ : পূর্বাহ্ণ
নতুন রূপে যমুনা। বৈশাখের খরতাপেও ভাঙছে নদী তীর। এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবোরিয়া ইউনিয়নের শতাধিক ঘর-বাড়ি। নিঃস্ব হয়ে নদী তীরে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।
স্থানীয়রা জানান, আমার বাড়িঘর সব নদীর ভাঙনে চলে গেছে। এখন আমি বাজারে যে আশ্রয় নিয়েছি। বাজারও থাকতেছে না মনে হয়। এমনিতেই অভাবের এলাকা। অনেকেরই সব জমি চলে গেছে। অতিদ্রুত এখানে বাঁধ নির্মাণ জরুরি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আমরা সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। এবং আমরা অতি শীঘ্রই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিঙের ব্যবস্থা করবো।
ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে কুড়িগ্রামের চরভগবতীপুরও। ক’দিন আগেও এখানকার একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ছিলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর। এখন বন্ধ স্কুল, ভেঙে ফেলা হচ্ছে কাঠামো। ছাত্রদের প্রশ্ন, আমাদের যে স্কুলটা ভেঙে গেল আমরা এখন পড়বো কোথায়।
ভাঙন ঝুঁকিতে আছে আশপাশের ঘর-বাড়ি, স্থাপনাও।
সেখানকার পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু করেছে। অন্যান্য জায়গা গুলোও নজরদারিতে আছে, সেগুলোতেও কাজ শুরু হবে।
স্থানীয়রা জানায়, বর্ষার আগেই হঠাৎ পানি বেড়েছে জেলার ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর। যার ফলে অসময়ে ভাঙছে পাড়।