প্রকাশ: ৯ মে, ২০২৩ ২:৫০ : অপরাহ্ণ
কখনো কখনো মনে হতে পারে ঘুমানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ঘুম হচ্ছে না। এমনটা অনেকেরই হয়ে থাকে। তবে এ থেকে পরিত্রাণের বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে।
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক খবরে বলা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির ফলে মস্তিষ্কে উঁকি মারতে পারি আমরা। মাথার খুলির ওপর ইলেকট্রোড মস্তিষ্কের তরঙ্গ নথিভুক্ত করতে পারে। একই সঙ্গে পেশির টান, নড়াচড়া ও নিশ্বাস-প্রশ্বাসও রেকর্ড করা হয়।
একজন মানুষ ঘুমিয়ে পড়ার প্রতি ১০০ মিনিট পরপর শুরুতে কম গভীর, এরপর গভীর এবং শেষ পর্যায়ে স্বপ্নের ঘুমে আচ্ছন্ন হয়। প্রতি একরাতে এ রকম চক্রের কয়েকবার পুনরাবৃত্তি হয়ে থাকে।
ঘুম বিজ্ঞানী আলিনে লিপ্স বলেন, ভালো ঘুম ও খারাপ ঘুমের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারার জন্য শেষে এক হিপনোগ্রাম বিশ্লেষণ করা হয়। এতে গুমের ধরণ সম্পর্কে জানা যায়। রাতে ঘুমের পর্যায়ের ধরনও শনাক্ত করা হয়। সেখান থেকে রাতে গভীর ঘুমের পর্যায় কতটুকু যথেষ্ট ছিল, সেটি স্পষ্ট বোঝা যায়। হালকা ঘুমের জন্য শরীর চাঙা হয়ে না উঠলে, এর কারণ সম্পর্কেও জানা যায়। আর রাতে যদি ভালো ঘুম না হয় তাহলে দিনে এর প্রভাব পড়ে।
কোলবালিশ: অধিকাংশ মানুষ পাশ ফিরে ঘুমাতে পছন্দ করেন। এ কারণে দুই হাঁটুতে ঘষা লাগে এবং পশ্চাৎদেশ কাত হয়ে থাকে। ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা দুই হাঁটুর মাঝে ছোট একটি বালিশ কিংবা কোল বালিশ রাখতে বলে থাকেন। এতে পশ্চাৎদেশের অবস্থান ঠিক থাকে এবং হাঁটুতে ঘষা লাগে না।
তোশকের অবস্থান পরিবর্তন করা: ভালো ঘুমের জন্য তোশকের অবস্থান ঠিক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে ঘুমানোর সময় তিন আঙুল পরিমাণ ব্যবধান থাকলে সেটি আরামদায়ক হয় না। এ কারণে প্রতি ছয় মাসে একবার করে তোশক উল্টানো উচিত। আবার ঘাড়ে বা শরীরে যদি কখনো ব্যথা হয়, সেক্ষেত্রে তোশক উল্টিয়ে দেয়া ভালো।
আকস্মিক শব্দ: রাতে ঘুমানোর সময় কিছু শব্দ ঘুমে বাধা হতে পারে। যেমন হঠাৎ রেলগাড়ি বা উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজানোর কিছু শব্দ। যদি এ শব্দ প্রতিদিন একই সময়ে হয়, তাহলে অনেকে অভ্যস্ত হয়ে যান এর সঙ্গে। হঠাৎ বিড়াল বা কুকুর ডেকে উঠলেও ঘুম ভেঙে যায়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে একটি অডিও রেকর্ড চালানো। যাতে করে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ তরঙ্গ প্রবাহিত হয়।
বাতি বন্ধ করা: রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের বাতি বন্ধ করা একটি জরুরি বিষয়। ঘুমের জন্য মেলাটোনিন হরমোনের প্রয়োজন হয়। তাই ঘুমানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে বাতি নিভিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ইত্যাদি বন্ধ রাখা উচিত।
অতিরিক্ত খাওয়া: গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত খাওয়ার পরে কখনোই ভালো ঘুম হয় না। কারণ, অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পাকস্থলী এতটাই ভরা থাকে যে, মস্তিষ্ক তখন দুঃস্বপ্নের জন্ম দিয়ে থাকে।
সূত্র – চ্যানেল২৪