প্রকাশ: ৯ মে, ২০২৩ ৩:২০ : অপরাহ্ণ
আজ মঙ্গলবার (৯ মে) মাঠে গড়াতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগ। যেখানে মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ও আসরে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল ম্যানচেস্টার সিটি। ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার এ পর্যায়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যালন ডি’অরের লড়াই। যেটি জয় করা প্রতিটি ফুটবলারের স্বপ্ন।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নামার আগে কিলিয়ান এমবাপ্পে, করিম বেনজেমা, ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা রয়েছেন ব্যালন ডি’অর শিরোপা জয়ের তালিকায়। তবে, শেষ পর্যন্ত ফুটবল বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোলডটকমের পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে সবার আগের দুইটি নাম হচ্ছে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডের নাম।
মেসি বিশ্বকাপ জয় করে অনেকটা এগিয়ে আছেন অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ের পথে। তবে, মৌসুমের শেষার্ধে এসে এই বিশ্বকাপজয়ীর সম্ভাব্য অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন ম্যান সিটির নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন আর্লিং হালান্ড। মেসি যখন ফুটবল থেকে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা পার করছেন, হালান্ড তখন পূর্ণ করেছেন সিটির জার্সিতে ৩৫তম প্রিমিয়ার লিগ গোল।
অথচ কয়েক মাস আগেও ধারণা করা যায়নি মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের জন্য লড়াইটা এই দুইজনের মধ্যে হবে। মৌসুমের প্রথমার্ধে মেসি ছিলেন পিএসজির জার্সিতে দারুণ ফর্মে। এরপরই তিনি স্বাদ পান ক্যারিয়ারের সুন্দরতম অর্জন, বিশ্বকাপ ট্রফির। সোনায় মোড়ানো ক্যারিয়ার যেন পায় পূর্ণতা! সে সময় হালান্ড ছিলেন না আলোচনায়। কেননা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি নরওয়ে। লিগ শিরোপার দৌড়েও ম্যানসিটিকে বেশীরভাগ সময়ই থাকতে হয়েছে আর্সেনালের পেছনে।
তবে সময় পাল্টে বিশ্বকাপ পরবর্তী মৌসুমটি মেসির জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিন্ন। পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনাও এখন নেই বললেই চলে। দর্শকদের দুয়োও শুনতে হয়েছে তাকে। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার সিটি এখন ‘প্রায় নিখুঁত’ এক ফুটবল ক্লাব। আর, দলটির সবচেয়ে ধারালো অস্ত্রের নাম আর্লিং হালান্ড। দলকে ট্রেবল জেতানোর লক্ষ্যে এখন অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য এই নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন। ব্যালন ডি’অর তাই জয় করবেন কে, সেই বিতর্ক এখন হয়েছে আরও জোরালো। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, অনেকটাই যেন এগিয়ে আছেন হালান্ড।
গতবারের প্রথম ব্যালন ডি’অর জয়ের কাছাকাছিই ছিলেন হালান্ড। কিন্তু দ্বিতীয় থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাকে। চলমান মৌসুমে সময়ের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকারের নামের পাশে আছে ৫২ গোল ও ৮টি অ্যাসিস্ট। এখানেই তাই প্রশ্ন চলে আসে, নামের পাশে অন্তত ৬০টি গোল নিয়ে যদি মৌসুম শেষ করেন হালান্ড, ম্যান সিটি জয় করে ট্রেবল, লিওনেল মেসি পিএসজির হয়ে আর এক মিনিটও না খেলেন, তবে কে জিতবে ব্যালন ডি’অর? আর এভাবেই যদি সব হয়, তবে হালান্ডের হাতে এই পুরস্কারটি না উঠলে সেটাই হবে নির্মম সিদ্ধান্ত।
গতবারও ব্যালন ডি’অর জয় করেছিলেন মেসি। চলতি মৌসুমে আর্জেন্টাইন এই মায়েস্ত্রো করেছেন ৩৭ গোল ও ২৪ অ্যাসিস্ট। জয় করেছেন বিশ্বকাপ ও ট্রফি দে চ্যাম্পিয়নস। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পথে মেসির পারফরমেন্সে তাকেই নিঃসন্দেহে ব্যালন ডি’অর জয়ের ক্ষেত্রে ফেভারিট ধরা যেতো। কিন্তু ২০২৩ সালে পিএসজির জার্সিতে মেসির ফর্মহীনতা ও ক্লাব থেকে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞায় পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। অষ্টম ব্যালন ডি’অরটা কি তবে মেসি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে?
সূত্র – চ্যানেল২৪