চট্টগ্রাম, রোববার, ১৯ মে ২০২৪ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আধুনিকায়নের যুগে কতটা গ্রহণযোগ্য ব্রিটেনের রাজা-রানির শাসন

প্রকাশ: ৬ মে, ২০২৩ ১১:২৩ : পূর্বাহ্ণ

গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে পৌছে যাওয়ার এই আধুনিক যুগেও রাজা-রানির শাসন। যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবি যেনো এক ঐতিহাসিক উপাখ্যান।

তাই প্রশ্ন উঠেছে, রাজতন্ত্র কতটা মানছেন ব্রিটেনের নতুন প্রজন্ম? তাদেরই একজন জানান, ভাবতে অবাক লাগে, আমার দেশের শাসনকর্তাকে নির্বাচন করার অধিকার কেন আমার হাতে নেই? দেশটা আমারও, তাই এটা নির্ণয় করার পেছনে আমার মত প্রাধান্য পাওয়া উচিত। আমাদের পছন্দের কোন সুযোগ নেই এখানে। শুধু নতুন প্রজন্মের পছন্দ-অপছন্দের গণ্ডিতেই থেমে নেই সমালোচনা। যুক্তরাজ্য তথা পুরো বিশ্বই যখন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে হিমশিম খাচ্ছে, তখন ব্রিটেনের শাসকের দখলে ৪ হাজার ৬শ’ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সম্পদ।

 

 

এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দেশটির রিপাবলিকান সমর্থকেরা। একজন বলেন, রাজা-রানির প্রসঙ্গটা এখন নিছক খেলা নয়। তাদের জীবনযাত্রায় যে বিপুল অর্থের খরচ হয়, তা যোগাতে হয় স্বাধারণ ব্রিটিশদের। এই চাপ দেশের নাগরিকরা নিজেরা বেছে নেয়নি।

 

 

যুক্তরাজ্য সহ কমোনওয়েলথের ১৫টি দেশের শাসক ব্রিটিশ রাজা। কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বেশকিছু দেশের প্রধানমন্ত্রীরা শপথ নেন, ব্রিটিশ রাজ পরিবারের প্রধানের কাছে। তবে সব দেশই কি সন্তুষ্ট রাজা-রানির শাসনে?

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানেজ বলেন, আমি বিশ্বাস করি অস্ট্রেলিয়া সহ প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব রাষ্ট্রপ্রধান থাকা উচিত। যদিও অজি সরকার কয়েক শতক ধরে ব্রিটিশ রাজত্বকে স্বীকার করে আসছে, তবুও নিজেদের প্রেসিডেন্টের অভাব বোধ হয় সবসময়ই।

 

 

২০০৯ সালে সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডিন্সে আয়োজিত এক গণভোটে দেখা যায়, সেখানকার ৪৫ ভাগ মানুষ তৎকালীন শাসক রানি এলিজাবেথের শাসনের অধীনে থাকতে চাননি। বর্তমানে রাজা চার্লস যদি এলিজাবেথের চেয়েও ক্যারিশমাটিক কিছু করতে না পারেন, তাহলে দ্রুতই যে জনপ্রিয়তা আরো কমবে এতো হয়তো সন্দেহ নেই।

সূত্র – চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF