প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:৩৪ : পূর্বাহ্ণ
পুষ্টিমানে অতুলনীয় একটি খাবার দুধ। সেই হিসেবে এ খাবারটি রোজকার খাদ্যতালিকাতেই রাখা উচিত। তবে দুধ খেতে কারও কারও সমস্যা হয়। যাদের ‘ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স’ থাকে, দুধের মধ্যকার ল্যাকটোজ তাদের জন্য ক্ষতিকর।
আবার কারও কারও দুধে অ্যালার্জি থাকে। দুধ এড়িয়ে চলেন তারা। আবার শিশু-কিশোরেরাও দুধ খেতে চায় না, এমন অভিযোগও নতুন নয় অভিভাবকদের। যারা দুধ খেতে পারেন না কিংবা একেবারেই চান না, তাদের জন্য দুধের বিকল্প কী খেতে পারেন?
দুধের পুষ্টিগুণ
পূর্ণ ননিযুক্ত এক কাপ দুধে আমিষ থাকে ৮ গ্রাম, চর্বি ৮ গ্রাম, শর্করা ১২ গ্রাম, চিনি ১২ গ্রাম। এর থেকে পাওয়া যায় ১৪৯ গ্রাম ক্যালরি। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম, রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন বি ১২-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে। এক কাপ দুধে ক্যালসিয়াম থাকে ৩০০ মিলিগ্রাম। তা ছাড়া দুধের ক্যালসিয়াম আমাদের দেহে শোষণ হয় সহজে।
দুধের পুষ্টির বিকল্প
দুধ বিকল্প হিসেবে যা-ই বেছে নেয়া হোক না কেন, সেটির আমিষের পরিমাণ জেনে নেয়া উচিত। সয়া দুধ, নারকেল দুধ, জই দুধ (ওট মিল্ক), চাল দুধ, কাজু দুধ—নানা কিছুই হতে পারে দুধের বিকল্প। সরাসরি দুধের মতো করে না খেলেও খাবার প্রস্তুতের সময় নানাভাবেই এসব উপকরণ যোগ করে নেয়া যায়।
প্রতি কাপ সয়া দুধে ৭ গ্রাম আমিষ থাকে বলে এটি দুধের দারুণ এক বিকল্প। প্রতি কাপ নারকেল দুধে থাকে ৫ গ্রাম, জই দুধে থাকে ৪ গ্রাম আমিষ। চাল দুধ আর কাজু দুধে আমিষের পরিমাণ খুব কম। দুধের ‘বিকল্প’ এই খাবার থেকে আমিষের চাহিদা পূরণ না হলে অন্যান্য আমিষসমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে রোজ। প্রাণিজ পণ্য বর্জন করলে নানা ধরনের ডাল, বীজ ও সয়া পণ্যে আমিষের চাহিদা মেটাতে পারেন।
সূত্র – চ্যানেল২৪