চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমবাজারে আতঙ্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, দেশে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পরামর্শ

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ৩:৩০ : অপরাহ্ণ

শ্রমবাজারে নতুন ঢেউ আনতে যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এই ঢেউ এড়ানোর উপায় নেই। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ভয় না পেয়ে এর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

যখনই কোনো নতুন প্রযুক্তি রূপান্তরের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে, এর সঙ্গে তখনই এসেছে অচেনা শঙ্কা। তা আদিম চাকা আবিস্কারই হোক কিংবা ইন্টারনেট।

 

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাণিজ্যিক ব্যবহারও তেমনি কিছু শঙ্কা নতুন করে হাজির করেছে। নিশ্চিতভাবেই এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থ্যান ও এর প্রভাব প্রযুক্তি-পুঁজিতে উন্নত দেশে যেরকমভাবে পড়বে, উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশে তেমন হবে না। তথ্য-প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞ ও কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষকরা বলছেন এ কথা। তারা আরও বলছেন, নতুন কর্মসংস্থান ও কর্মের ধরণ বদলানোর মিশেল দেখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

 

 

বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আশিকুর রহমান বলেন, এখানে একটা ট্রান্সফরমেশন ঘটবে। আমি বলি এটা প্যারাডাইম শিফট। অর্থাৎ, আমরা যেভাবে কাজ করি, সেই কাজের পদ্ধতি চেঞ্জ হবে। কিন্তু আমাকে রিপ্লেস করবে না।

 

 

বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক ও সাংবাদিক মুনির হাসান বলেন, আমেরিকাতে যেরকম হবে বা ইউরোপে যেমন জব মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে, সেভাবে আমাদের এখানে প্রভাব ফেলবে না। কিছুটা সময় লাগবে আমাদের ফ্রিল্যান্সাররা নানা ধরনের কাজ করে। অনেকে আছে প্রোডাক্ট থেকে তার বিস্তারিত লেখে, কনটেন্ট রাইটার। তারা বিপদে পড়ে যাবে।

 

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তাকলাগানো ক্ষমতায় বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার চেয়ে বরং কীভাবে এর ইতিবাচক ব্যবহার থেকে সুফল পাওয়া যায়, সেটি ভাবার সময় এখন। এ বিষয়ে মুনির হাসান বলেন, আমরা যদি এই ভুলটা করি যে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজিন্সের সঙ্গে লড়াই করব। তাহলে আমরা হেরে যাব। বরং এমন হতে হবে যে, এটাকে কীভাবে আমরা কাজে লাগাব।

 

 

অবশ্য দেশীয় কিছু প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনার জায়গা কাজে লাগাতে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু তার পরিসর এখনও সীমিত। কম্পিউটার বা ইন্টারনেটের মতো এখানেও বড় পরিসরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি বলে মনে করেন তথ্য-প্রযু্ক্তি বিশেষজ্ঞরা।

 

 

সূত্র – চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF