প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:১৮ : পূর্বাহ্ণ
ঈদকে কেন্দ্র করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে মোটরসাইকেল ও যাত্রী পারাপার শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার পর মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ৪ নম্বর ফেরিঘাট থেকে ১৬৯টি মোটরসাইকেল নিয়ে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় প্রথম ফেরি ‘কলমিলতা’।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হলেও দুর্ভোগ এড়াতে আগেভাগেই ঘরে ফিরছেন যাত্রীরা। প্রথমদিনেই মোটরসাইকেল আরোহীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী দুর্ভোগ লাগবে আজ থেকে শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটে মোট দুটি ফেরি দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার করা হবে। চাপ বাড়লে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর শিমুলিয়াঘাট থেকে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দির উদ্দেশ্যে ফেরি ছেড়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, শিমুলিয়ায় মোট চারটি ফেরিঘাটের মধ্যে মোটরসাইকেল পারাপারে ভিআইপি ফেরিঘাট (৪ নম্বর) ব্যবহার করা হবে। মোটরসাইকেল পারাপারে ভাড়া ১৫০ টাকা এবং যাত্রী পারাপারে ৩০ টাকা। ঈদ পরবর্তী প্রয়োজন সাপেক্ষে ও নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ফেরিতে মোটরসাইকেল পারাপার করা হবে।
এদিকে, ঘাট এলাকায় নাব্যতা সংকট আর পদ্মায় বিভিন্ন স্থানে জেগে ওঠা ডুবচরের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হতে পারে এমন শঙ্কা রয়েছে যাত্রীদের মাঝে। তবে সমস্যা সমাধানের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
ঘাট এলাকায় ফেরির পাশাপাশি চলাচল করছে যাত্রীবাহী লঞ্চ। তবে যাত্রী সংকট থাকায় লঞ্চে করে পারাপার হচ্ছে মোটরসাইকেল। এ ছাড়াও ঘাট এলাকায় বাড়তি নজরদারি রেখে, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি।