প্রকাশ: ৭ এপ্রিল, ২০২৩ ৩:২০ : অপরাহ্ণ
মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দার প্রতি ক্ষমাশীল। আর পবিত্র রমজান মাসে বান্দার প্রতি তার দয়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পায়। এ মাসে বান্দার প্রতিটি আমলের প্রতিদান বাড়িয়ে দেন তিনি। দোয়া কবুল করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।
রমজান মাসে আল্লাহর কাছ থেকে পুণ্য পেতে তিনটি সময়ের কথা রয়েছে হাদিসে। যে সময়ে বান্দার প্রতি আল্লাহর করুণা থাকে। এবার তাহলে সেসব বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
ফজরের পর: পবিত্র রমজান মাসে ফজরের নামাজের পর অধিকাংশ মানুষ ঘুমিয়ে থাকে। অথচ এ সময় ইবাদত ও দোয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, এরপর সূর্য ওঠা পর্যন্ত বসে বসে মহান আল্লাহর জিকির করে, তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, সেই বান্দার জন্য একটি হজ ও একটি ওমরাহর সওয়াব রয়েছে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৫৮৬)
ইফতারের আগের সময়: ইফতারের আগ মুহূর্তে ইবাদত ও দোয়া কবুলের জন্য উল্লেখযোগ্য সময়। মহানবী (সা.) বলেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না; ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৫২)
রাতের শেষ তৃতীয়াংশ: মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় শেষ রাতের ইবাদত, দোয়া ও প্রার্থনার বিকল্প নেই। এ সময়ের দোয়া ও প্রার্থনার প্রশংসা করে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, তারা ধৈর্যশীল, অনুগত, সত্যবাদী, ব্যয়কারী এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৭)
হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে আমাদের সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, আমাকে কে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব; আমাকে কে কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করব; আমার কাছে কে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৪৫)