চট্টগ্রাম, রোববার, ১৯ মে ২০২৪ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফায়ার সার্ভিসের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ৫ এপ্রিল, ২০২৩ ১:১৬ : অপরাহ্ণ

বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘একপাশে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাচ্ছে, এর মধ্যে কারা লাঠিসোটা নিয়ে হাজির। কারা ফায়ার সার্ভিস ভাঙচুর করলো? তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

সকালে গণভবনে পদ্মা সেতুর ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেনে প্রধানমন্ত্রী।

পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামগত সেতুই নয় এটি বাঙালির শক্তি এবং সাহসের প্রতীক বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীকে নিজেদের সক্ষমতা দেখাতে পেরেছে। যত বাধাই আসুক জনগণকে সাথে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

সকালে গণভবনে এই অর্থের চেক প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাক্ষণিকভাবে এই অর্থ প্রধানমন্ত্রী অর্থ সচিবকে হস্তান্তর করেন। এ সময় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পদ্মা সেতু নিয়ে দেশি-বিদেশি নানান ষড়যন্ত্রের পর বন্ধ হয়ে যায় বিদেশি অর্থায়ন। অনিশ্চয়তায় পড়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় খরস্রতা নদী পদ্মার ওপর স্বপ্নের এই সেতু নির্মাণ করা হয়। বিশ্ব ব্যাংকের মিথ্যা অভিযোগ আর দেশীয় কিছু মানুষের ভুল বিশ্লেষণকে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহসী উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। সরকারের অর্থ বিভাগ থেকে এই সেতু নির্মাণে এক শতাংশ হারে মুনাফার ভিত্তিতে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় সেতু বিভাগকে। যা প্রতি বছর চারটি করে কিস্তি দিয়ে ১৪০ কিস্তিতে সুদ এবং আসলসহ ৩৬ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা মূলে পরিশোধ করবে সেতু বিভাগ।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রবল বাঁধা অতিক্রম করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা নিজেদের জমির দলিলসহ লিখে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এই পদ্মা সেতু করতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যের সহযোগিতা ছাড়া এক কদমও আগানো যাবে না এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতেই পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। একটা সংস্থা অপমান করবে আর মুখবুজে সহ্য করবে বাঙালি বীরের জাতি হিসেবে তা হতে পারে না।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্তে দেশি-বিদেশি কারও কাছ থেকেই সেই অর্থে সমর্থন পাননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একমাত্র মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কিছুটা মানসিক সাহস যুগিয়েছিলেন।

দেশের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত বাধাই আসুক বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তার সরকার।

Print Friendly and PDF