চট্টগ্রাম, রোববার, ১৯ মে ২০২৪ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাটি দিয়ে প্রথমবার ট্রেন চলার আনন্দে পদ্মা পাড়ে খুশির বন্যা

প্রকাশ: ৩ এপ্রিল, ২০২৩ ২:০৪ : অপরাহ্ণ

পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে যা ছিল স্বপ্নাতীত। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল)। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পুরোদমে ট্রেন চলাচল শুরু হলে আরও একটি স্মারক যোগ হবে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে।

মাদারীপুরের মাটি দিয়ে প্রথমবার ট্রেন চলার খবরে খুশির বন্যা বাইছে পুরো দক্ষিণাঞ্চলে। সবচেয়ে খুশি জেলার শিবচর, শরীয়তপুরের জাজিরা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের মানুষ।

গত বছর ২৫ জুন বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ জুন থেকে সড়ক পথের দুয়ার খুলে যায়। অপেক্ষায় ছিল সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল। পদ্মা সেতু চালুর ৯ মাস ১০ দিনের মাথায় অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল)।

জীবনের প্রথম মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ রেলগাড়ি দেখবে এটা তাদের কাছে পরম পাওয়া। একই সঙ্গে স্বল্প খরচে মানুষের যাতায়াত সুবিধা, পণ্য আমদানি রপ্তানিতে গতি আসবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে, চাঙ্গা হবে দেশের অর্থনীতি। বিশেষ করে স্বল্প খরচে কৃষি পণ্য রাজধানীতে নিতে পারবে ভাটি অঞ্চলের কৃষকরা। এরই মধ্য দিয়ে দেশবাসী আরও একটি মাইল ফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে।

ভাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান জানান, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ভাঙ্গা স্টেশন থেকে একটি গ্যাংকার ট্রেন এবং ৭ বগি বিশিষ্ট যাত্রীবাহী একটি স্পেশাল ট্রেন মাওয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে রেলমন্ত্রী আসবেন, তিনি এখানে ব্রিফ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। আগে গ্যাংকার ট্রেন ছাড়া হবে, তারপরে স্পেশাল ট্রেন যাত্রা করবে। যাত্রীবাহী হলেও এই স্পেশাল টেনে কোন যাত্রী থাকবে না।

 

 

শুধু রেলমন্ত্রী, রেল লিংক প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এবং বিশেষ অতিথিবৃন্দ থাকবেন। মাওয়া পৌঁছানোর পরে সেখান থেকে মন্ত্রী সহ অতিথিবৃন্দ সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে যাবেন।

ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে জানতে চাইলে ভাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান বলেন, কতটা গতিতে চালানো যাবে এবং চালক কতটা গতিতে ট্রেন চালাতে পারবেন তার ওপর নির্ভর করছে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছাতে কতটা সময় লাগবে। তবে আমাদের ধারণা দুই ঘণ্টার মতো লাগতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ট্রেন দুটি মাওয়া স্টেশনে পৌঁছানোর পরে গ্যাংকার ট্রেন ওখানেই থেকে যাবে আর স্পেশাল ট্রেনটি মাওয়া থেকে ব্যাক করে পুনরায় ভাঙ্গা স্টেশনে আসবে।

 

 

সূত্র – চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF