প্রকাশ: ১ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:০১ : পূর্বাহ্ণ
অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (৩০ মার্চ) সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে এ আইনের প্রয়োগ উদ্বেগ জানান তিনি। অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি এবং অনলাইন প্লাটফরমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করতে, ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
তুর্ক আরও বলেন, কর্তৃপক্ষের প্রতি অবিলম্বে এর প্রয়োগ স্থগিত এবং এই আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এর ধারাগুলোতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার আহ্বান জানাচ্ছি।
এই সংশোধনী আনতে সহযোগিতার লক্ষ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর থেকে বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে বিস্তারিত পরামর্শ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফলকার তুর্কের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই আইনে দুই হাজারের বেশি মামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে তার দপ্তর থেকে ধারাবাহিকভাবে উদ্বেগ জানানো হচ্ছে। এসব ধারা অস্পষ্ট এবং বিস্তৃত পরিসরে সেগুলোর প্রয়োগ করা যায়। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার এই আইনের যথেচ্ছ ও মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগ বন্ধে সুরক্ষাকবচ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু যখন গ্রেপ্তার করা অব্যাহত রয়েছে, তখন তাদের এই প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়। খোদ এই আইনেরই যথাযথ সংস্কার দরকার।
বর্তমানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করতে একটি স্বাধীন বিচারিক প্যানেল গঠনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার। তার ভাষ্যমতে, এই পর্যালোচনা করা হবে যেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মুক্তি পান।
সূত্র – চ্যানেল২৪