চট্টগ্রাম, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ , ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে পোশাক শ্রমিকদের ছুটি নিয়ে যে নির্দেশনা দিলো বিজিএমইএ

প্রকাশ: ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১১:১৬ : পূর্বাহ্ণ

ঈদের দুই থেকে তিন দিন আগেই পোশাক শ্রমিকদের ছুটি দিতে সদস্য কারখানাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল ও লঞ্চযাত্রায় একই দিনে অতিরিক্ত শ্রমিকের চাপ কমাতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (২৭ মার্চ) বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সদস্য কারখানাগুলোকে এ অনুরোধ জানায় সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ২২ এপ্রিল (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে)। সে হিসাবে ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ঈদের পূর্বে শেষ কর্মদিবস। ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) থেকে শুরু হবে ঈদের ছুটি। ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল ও লঞ্চযাত্রায় একই দিনে অতিরিক্ত শ্রমিকের চাপ কমাতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

 

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে মালবোঝাই ট্রাকে যাতায়াত না করা, অতিরিক্ত যাত্রী না হওয়া, তাড়াহুড়া করে রাস্তা পারাপার না করা, রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা, সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্ন না করা, অপরিচিত লোকের কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার বিষয়ে শ্রমিকদের সচেতন করতেও অনুরোধ করেছে বিজিএমইএ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কারখানার কার্যাদেশ, শিপমেন্ট এবং উৎপাদনের সঙ্গে সমন্বয় করে সুযোগ থাকলে ঈদের দুই-তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দেয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে। প্রয়োজনে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে রমজান মাসে বিভিন্ন সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শ্রমিকদের সাধারণ ডিউটি করিয়ে ঈদের বাড়তি ছুটি সমন্বয় করতে পারবেন। শেষ কর্মদিবসে শ্রমিকদের নিরাপদে যাত্রার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৮-১০ জনের দল গঠন করে স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করতে পারে।

 

 

ঈদের আগে ছুটি ও নিরাপত্তা নিয়ে নির্দেশনা দিলেও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি বিজিএমইএ। অথচ প্রতিবছর দুই ঈদে শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়টি নিয়মিত ঘটনা। সব কারখানা শ্রমিকের বেতন-ভাতা ঠিকঠাক দিচ্ছে কি না, সেটি তদারকিতে প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের বিশেষ টিম কাজ করবে।

 

 

বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ আরও নিয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী তৃতীয় কোনো পক্ষ শ্রমিক অসন্তোষ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে। তাই কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ হতে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে প্রয়োজনে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কলকারখানা অধিদপ্তর অথবা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করতে বলা হয়েছে।

 

সূত্র – চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF