প্রকাশ: ২৪ মার্চ, ২০২৩ ৪:২৭ : অপরাহ্ণ
রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেসব পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়লো বাজারে। নিত্যপণ্যের মধ্যে এখনো নৈরাজ্য চলছে চিনির দরে। খেজুরও গেলো বছরের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে দাম। কাচা মরিচ, লেবুসহ অন্যান্য সবজিও প্রথম রমজানকে টার্গেট করে বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মাছ মাংসের দাম ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী।
প্রতিকেজি খোলা চিনি গেল সপ্তাহে যেখানে বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা করে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা করে। তাও আবার খুচরা দোকানিরা অভিযোগ করছেন বস্তার রেট থেকে ৫০০ টাকা বাড়তি দর দিয়ে তাদের তা কিনতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাদেরকে দেয়া হচ্ছে না বিক্রয় রশিদও। তাই ম্যাজিস্ট্রেট আসলে রশিদ দেখাতে না পারার আতঙ্কে তারা।
তবে পর্যাপ্ত আমদানি হওয়ায় স্থিতিশীল রয়েছে ছোলার দাম। প্রতি কেজি ছোলা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত। আর খোলা সয়াবিন ১৬৫, পাম অয়েল ১২৮ এবং বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা করে। সবচেয়ে বেড়েছে খেজুরের দাম। গেলো রমজানে যে খেজুর ৩০০ টাকা বিক্রি হয়েছে এবার তা ৪০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে দাম।
সবজির মধ্যে এবারো লেবুকে নিয়ে চলছে রমরমা ব্যবসা। প্রতি পিছ লেবু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা দরে। কাচা মরিচ নিয়ে চলছে আরেক নৈরাজ্য। এক এক বিক্রেতা এক এক ক্রেতার কাছে এক এক দাম চাচ্ছে। যারা কিছুটা তর্ক বিতর্ক করে দাম কমে নিতে পারছেন তারাই লাভবান হচ্ছেন। ৭০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি মরিচ।
এদিকে রমজানকে টার্গেট করে বেড়েছে সবধরনের মাছের দর। প্রত্যেক মাছেই কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে একদিনের ব্যবধানে। আর মুরগীর বাজারকে দেখার মতো কেউ নেই বলে আক্ষেপ ক্রেতাদের। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১৪০ টাকা করে।
রমজানকে লক্ষ্য করে অসাধু ব্যবসায়ীরাই মজুত করে দাম বাড়াচ্ছে বলে মত ক্রেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। তাই তাদের লাগাম টেনে ধরা জরুরি বলে মত তাদের
সূত্র – চ্যানেল২৪