চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জোড়া প্রীতি ম্যাচের আগে ঐতিহাসিক রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে মেসি

প্রকাশ: ২২ মার্চ, ২০২৩ ১১:৪০ : পূর্বাহ্ণ

 

চলতি মাসে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে। যার একটির প্রতিপক্ষ পানামা এবং অপরটির প্রতিপক্ষ কুরাকাও। আর এই দুটি ম্যাচে ঐতিহাসিক এক রেকর্ড গড়তে পারেন মেসি।

 

মেসি তার ক্যারিয়ারে অনেকগুলো রেকর্ড করেছেন। অনেক ইতিহাস তৈরি করেছেন। সেই ইতিহাসের পাতায় আরেকটি লাইন বাড়াতে পারেন এ মাসেই। হয়ে যেতে পারে সেটা আগামী শুক্রবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় পানামার বিপক্ষে ম্যাচও।

 

মেসি তার ক্যারিয়ারে এখনও পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ১৭২ ম্যাচ থেকে করেছেন ৯৮টি গোল করেছেন। আর মাত্র দুটি গোল করতে পারলেই তিনি গোলের সেঞ্চুরি করবেন। সেটা হয়ে যেতে পারে এবার আন্তর্জাতিক সূচিতেই।

 

যদি তিনি পানামার বিপক্ষে দুটি গোল করতে পারেন তাহলে বিশ্বের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করবেন। তার সামনে তখন থাকবেন ইরানের আলি দায়ী ১৪৮ ম্যাচে ১০৯ গোল ও পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ১৯৬ ম্যাচে ১১৮ গোল।

 

অবশ্য এখানেই শেষ নয়, মেসি যদি মাত্র একটি গোল করতে পারেন তাহলেও বিশ্বের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ৮০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করবেন তিনি। তখন তার সামনে থাকবেন দু’জন। একজন অস্ট্রিয়ান কিংবদন্তী ফুটবলার জোসেফ বীকন ও পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

 

পানামার বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগে ১০১৫ ম্যাচে মেসির গোল সংখ্যা রয়েছে ৭৯৯টি। তার উপরে থাকা অস্ট্রিয়ার কিংবদন্তী ৫৩০ ম্যাচে করেছেন ৮০৫টি গোল ও পর্তুগিজ তারকা রোনালদো ১১৫৫ ম্যাচ থেকে করেছেন ৮২৮টি গোল।

 

তবে পানামার ম্যাচটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের স্বীকৃতি পাবে কিনা তা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। কেননা আন্তর্জাতিক ম্যাচে যে নিয়ম রয়েছে তা এই ম্যাচটিতে মানা নাও হতে পারে মনে করা হচ্ছে।

 

ফিফার নিয়মে মূলত দুই ধরনের অফিসিয়াল ম্যাচের কথা বলা আছে। একটি হচ্ছে বিশ্বকাপ, বাছাইপর্ব, কনফেডারেশনস খেলাগুলো। আর অন্য ম্যাচগুলো মূলত ফিফার প্রীতি ম্যাচ। ‘এ’ ক্যাটাগরির ম্যাচ নিয়ে ফিফার নিয়মে বলা হচ্ছে, সদস্যদেশগুলোর দুটি প্রথম সারির দলের মধ্যকার খেলা।

 

ফিফার নিয়মে আরও বলা হচ্ছে, শীর্ষ স্তরের আন্তর্জাতিক ম্যাচ বলতে বোঝায় সেই ম্যাচগুলো, যেখানে দুটি সদস্য দেশের অংশগ্রহণকারী দলগুলো হবে ‘এ’ দল (জাতীয় দল)। কিংবা যাদের মধ্যে অন্তত একটি দল হবে সম্মিলিত দল।

 

আরেকটি নিয়ম হচ্ছে, ফিফা, কনফেডারেশনস এবং সংশ্লিষ্ট অন্য সংগঠন শীর্ষ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোকে অনুমোদন দেবে। এসবের ভিত্তিতে বলা যায়, আর্জেন্টিনা-পানামা এবং আর্জেন্টিনা-কুরাকাওয়ের মধ্যকার ম্যাচ দুটি শীর্ষ স্তরের আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

 

কিন্তু প্রতিপক্ষ যদি যুব দল হয় কিংবা ক্লাবের দল হয়, তবে ম্যাচটি দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সারিতে নেমে যাবে। এ ছাড়া কাগজপত্র, অনুমোদন এবং ফিফাকে দেয়া ফির বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হয়। আন্তর্জাতিক ম্যাচের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় বিশেষ গুরুত্ব পায়, সেটি হচ্ছে কতজন খেলোয়াড় বদল করা হচ্ছে সেটি। নিয়ম মেনে এই দুটি ম্যাচেও ছয় খেলোয়াড় বদলি খেলানোর কথা বলা হয়েছে।

 

সূত্র – চ্যানেল২৪

Print Friendly and PDF