প্রকাশ: ১১ মার্চ, ২০২৩ ১২:০১ : অপরাহ্ণ
শুক্রবার বিকেলে খুলনার রূপসা সেতুর নিচে টোলঘাটে শিশু সংগঠন ইকরিমিকরি কর্তৃক আয়োজিত ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধানের তিন দিনব্যাপী একশ নদী উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার কোনো নদী অবৈধ দখলদারদের হাতে থাকবে না। নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে সারাদেশে ৮০টি ড্রেজারের মাধ্যমে ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান। ডেল্টাপ্ল্যান প্রকল্পের মাধ্যমে খাল, বিল, হাওড় ও বাওড় খনন করা হচ্ছে। নদী রক্ষার জন্য বর্তমান সরকারের নিদের্শনা মোতাবেক ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যে এপর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। নদী রক্ষার জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশন ১৭৮টি নদী নিয়ে কাজ করছে।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা নদীর প্রাণ কেড়ে নিতে চায় তারা দেশের শত্রু। এই শত্রুদের চিহিৃত করে নদীকে প্রবাহমান করতে হবে। নদীর দুই পাশ দখলমুক্ত করতে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মোংলা থেকে খুলনা পর্যন্ত ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে শুষ্ক মৌসুমে পানি ঘাটতির অন্যতম কারণ হলো নদীর নাব্য হারানো। নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। নদী মানুষের প্রাণ। ময়ুর নদের সঙ্গে রূপসা নদীর সংযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে ২২টি খাল উদ্ধার করে জলাবদ্ধতা নিরসনে খননের কাজ চলছে।
এ সময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, খুলনা বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজসহ বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।