প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:২৩ : পূর্বাহ্ণ
করোনার কারণে স্কুল বন্ধ, বাসার টিউটর আসা বন্ধ, এমনকি কোচিং করতে যাওয়াও বন্ধ। শিক্ষা অর্জনের সব পথই প্রায় বন্ধ হয়ে হুমকির মুখে যখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আগামীর পথচলা-ঠিক তখন দেশের বাইরে থেকেও দেশের শিক্ষা-ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিন্তিত এক দম্পতি- মুহিব-নাবিলা।
ইউরোপের মধ্যমণি জার্মানিতে বসে নিজের পুরোকৌশল পেশা ও উচ্চশিক্ষা নিয়েই পার করে দিতে পারতেন নিজের বাকিটা সময়। কিন্তু, চিন্তা যখন শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে, তখন ওসবের চিন্তা পুরোপুরি করার সময় কোথায়!
২০২০ সালের শুরুতেই “90 DEGREE Education” এর অনলাইনে মূল পথচলা শুরু; যদিও অফলাইনেই “90 DEGREE Education” ছিল ২০১৫ সাল থেকেই চট্টগ্রামের নতুন বাজার হালিশহরে। সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের নিয়ে কাজ করে গেছেন দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত। মুহাম্মদ মুহিব হাসানের এই “90 DEGREE Education” এখন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অনলাইনভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালে অনলাইনে পথ চলাটা মসৃণ ছিল না। কিন্তু, এটিকে সহজ করেছেন তার স্ত্রী ডা. নাবিলা আদনান। পেশায় দন্তচিকিৎসক হলেও, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি এখন পুরোদস্তুর ‘নাবিলা ম্যাডাম’। এই দম্পতির হাত ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে “90 DEGREE Education”।
‘সহজ শিক্ষা সবার জন্য’ বিষয়টিকে মাথায় রেখে ‘এক ভিডিওতে সব সমাধান’ নামক লক্ষ্যে কাজ করেছেন মুহিব-নাবিলা দম্পতি। মূলত গণিত নিয়ে কাজ করেন তারা। তাই, ব্যবসায়িক চিন্তা না করে একই অনুশীলনীর আলাদা আলাদা করে ‘বেশি লাভের’ আশায় বেশি টিউটোরিয়াল না বানিয়ে এক টিউটোরিয়ালেই একটি অনুশীলনীর সকল সমস্যার সমাধান ধরে ধরে হাতে-কলমে শেখাচ্ছেন এই মানুষ দুটি। এতে সাফল্যের মুখ দেখতে সময় লাগেনি বেশি। সবাই সাদরে গ্রহণ করেছেন তাদের এই উদ্যোগ।”90 DEGREE Education” এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র গণিতের জন্য ইউটিউব কর্তৃক ভেরিফায়েড চ্যানেল। শুধুমাত্র গণিতের মতো ভয় পাওয়া একটি বিষয় ও আগ্রহ না থাকা বিষয়ে কাজ করে তাদের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ! শুধু এই এটাই?
না, কারিকুলাম-বেইসড পড়ালেখা নিয়ে অ্যাপ যখন বাংলাদেশে প্রায় নেই বললেই চলে, তখন ডেভেলপড হলো (২০২০ সালে) “90 DEGREE Education” এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। যেখানে শিক্ষার্থীরা টিউটোরিয়ালের পাশাপাশি পাচ্ছে নোট, এমসিকিউ, কুইজ, ব্লগ পোস্টসহ আরও অনেক কিছু।
সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত “90 DEGREE Education” শুধু শিক্ষার্থীদেরই না— শিক্ষক, প্রশিক্ষকসহ সবারই এক আস্থার নাম। তাই, এসব মানুষের কথা চিন্তা করেই মুহিব হাসানের প্রথম বই প্রকাশিত হলো— মামার বাড়ির ম্যাথ। গণিতের বেসিকও যে সহজে ও গল্পে গল্পে মজবুত করা যায়, তার একটি প্রমাণ এই বই। মূলত তিন-খণ্ড বইয়ের প্রথম খণ্ড (পাটিগণিত) প্রকাশিত হয়েছে এবারের বইমেলা উপলক্ষে। পাওয়া যাচ্ছে রকমারি.কম সহ বিভিন্ন লাইব্রেরীতে। ইতোমধ্যে ১৬৪ পৃষ্ঠার চমৎকার বইটি পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।