প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ৬:৩৩ : অপরাহ্ণ
রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডা. এস এ মালেক স্মরণে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যে কয়জন অবদান রেখে গেছেন তাদের মধ্যে ডা. এস এ মালেক একজন। অত্যন্ত বৈরি পরিবেশের মধ্যেও তিনি জাতির পিতার আদর্শকে সামনে নিয়ে এসেছেন। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচির বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও নেতাকর্মীদের শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের জানানোর বিষয়টি তিনি অনেক দক্ষতার সঙ্গে করে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, ডা. এস এ মালেকের লেখার হাত ভালো ছিল। লেখনির মাধ্যমে জাতির পিতার আদর্শকে তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যত বাংলাদেশ কেমন হবে সেটাও তিনি লিখে গেছেন। আমি মনে করি সেগুলো আমাদের জন্য বিরাট সম্পদ হিসেবে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচার, মানুষের মাঝে জনমত সৃষ্টি, লেখালেখি এবং সংগঠন করার ক্ষেত্রে তার অনেক অবদান রয়েছে। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে ডা. মালেকের ভূমিকা ছিল। তিনি ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। তাঁর যুদ্ধক্ষেত্র কুষ্টিয়ায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর এয়ার রেইড চলার সময়ও তিনি বীরত্বপূর্ণ ভুমিকা নেন। ’৭৫ এ জতির পিতাকে হত্যার পর খুনি মোশতাক অনেককে আলোচনার জন্য ডেকেছিল। ডা. মালেক সেখানে যাননি এবং অনেককে সেখানে যোগদান থেকে বিরত রাখেন। পাশাপাশি খুনীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
সরকার প্রধান বলেন, রাজনৈতিক নেতা হলেও ডা. মালেকের কোনো অহমিকা ছিল না আওয়ামী লীগের সাবেক এই উপদেষ্টা খুব সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। যা অর্থ পেতেন তাই মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতেন। এমবিবিএস চিকিৎসক হয়েও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করতেন বলে তার রোগ নির্নয় এবং নিরাময় অত্যন্ত কার্যকর ছিল।
’৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন ডা. মালেকের ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে নিজ হাতে ঝাড়ু নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা পরিস্কার ও ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর মাধ্যমে জীবানুমুক্ত করতে নেমে পড়েন। মানুষ যেন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত না হয় সেই ব্যবস্থা নেন।
এ সময় ডা. এস এ মালেকের রূহের মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।