প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:০৮ : পূর্বাহ্ণ
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের সার্কিট হাউসে উন্নয়ন শীর্ষক সমন্বয় সভার পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো সন্ত্রাসী দল। সুতরাং দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার করে ভারতবর্ষেও তারা অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা আমরা সহ্য করব না। সেই কারণে এ ধরনের চোরাচালান এবং অস্ত্র চোরাচালান পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন আমাদেরকে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দুই পাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সেখান থেকে বের হতে দিতো না। এমনকি আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা মেরে দিয়েছিল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছুটে যেতে হয়েছে তাদের হামলা থেকে কর্মীদের রক্ষা করার জন্য। তারা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করেছে। কিবরিয়া সাহেবকে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে, আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কোনো জনসভায় একটা ফটকাও ফোটানো হয়নি।
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না। কিন্তু যারা রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়েছে, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, জনগণের সহায় সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে তারা যে আবার কখন একই কাজ করবে সেটি বলা যায় না। তাই সমগ্র বাংলাদেশে আমরা শনিবার শান্তি সমাবেশ করব এবং সতর্ক দৃষ্টি রাখব যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমানসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।