প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১২:৪০ : অপরাহ্ণ
জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা জানান। বলেন, একটি গোষ্ঠী বিএনপির নেতৃত্বে দেশবিরোধী চক্রান্ত করছে।
একুশের চেতনাবিরোধীরা আবারও সক্রিয় বলে এ সময় উল্লেখ করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। জানান, তাদের প্রতিহত করাই এবারের ভাষা দিবসের অঙ্গীকার। পরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় বাংলার ব্যবহার বেড়েছে। তবে শুদ্ধ ও প্রমিত বাংলা ভাষা ব্যবহার নিশ্চিত করা এখনও বড় চ্যালেঞ্জ।
অন্যদিকে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণতন্ত্র-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা একুশের চেতনা। তা পুরোপুরি অর্জিত হয়নি এখনও।
আজ থেকে ৭১ বছর আগের এক বৃহস্পতিবার, দিনটি ছিল ৮ই ফাল্গুন, ২১ ফেব্রুয়ারি। মাতৃভাষার দাবিতে রাজপথে নামা কিছু তরুণের বুকের তাজা রক্তে লাল হয় ঢাকার রাজপথ। তাদের আত্মত্যাগে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্থান পায় বাংলা।
আজ সে দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে পুরো জাতি। জাতিসংঘের উদ্যোগে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ভাষা শহীদদের স্মরণে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি সহকারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন একুশে ফেব্রুয়ারির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপর ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
এদিকে, একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দলীয় সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর পর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পীকার শামসুল হক টুকু। এরপর শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনী প্রধানসহ সামরিক বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিরোধী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ শ্রদ্ধা জানান। বিভিন্ন কূটনীতিক মিশনের প্রধানরাও শ্রদ্ধা জনাতে শহীদ মিনারে আসেন।