চট্টগ্রাম, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ , ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ক্রিস হিপকিন্স

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ৩:০০ : অপরাহ্ণ

নিউজিল্যান্ডের ৪১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবাবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স। সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানী ওয়েলিংটনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান ৪৪ বছর বয়সী এ রাজনীতিক।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর হিপকিন্স বলেন, ‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ ও দায়িত্ব।’

হিপকিন্স বলেন, সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা মোকাবিলা করতে তিনি উৎসাহ বোধ করছেন।

গত বৃহস্পতিবার জেসিন্ডা নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার পদত্যাগের এই আকস্মিক ঘোষণা সবাইকে বিস্মিত করে।

জেসিন্ডার পদত্যাগের ঘোষণার পর নিউজিল্যান্ডের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যরা গত রোববার দলের নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হিপকিন্সকে বেছে নেন। হিপকিন্স এই পদের জন্য একমাত্র প্রার্থী ছিলেন।

লেবার পার্টি থেকে হিপকিন্স ২০০৮ সালে প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। পার্লামেন্টে আসার আগে তিনি দেশটির শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের কার্যালয়ে।

হিপকিন্স নিউজিল্যান্ডের মিশ্র সংস্কৃতির প্রজন্মের প্রতিনিধি। তিনি দুই সন্তানের পিতা। তার ডাকনাম ‘চিপ্পি’। তিনি নিজেকে একজন সাধারণ কিউই হিসেবে বর্ণনা করেন। সাইকেল চালিয়ে কাজে যেতে পছন্দ করেন তিনি। তার প্রিয় খাবার সসেজ রোল।

করোনা মহামারিকালে হিপকিন্স আলোচিত মুখ হয়ে ওঠেন। তিনি ২০২০ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। একই বছরের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত কোভিড-১৯ মোকাবিলাসংক্রান্ত মন্ত্রী ছিলেন। তাকে নিউজিল্যান্ডের করোনা মহামারি মোকাবিলার ‘স্থপতি’ বলা হয়। করোনা মোকাবিলায় তার নেওয়া পদক্ষেপ দারুণভাবে প্রশংসিত হয়।

গত বছরের মাঝামাঝিতে নিউজিল্যান্ডের পুলিশবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান হিপকিন্স। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা ও জনসেবা মন্ত্রীর দায়িত্বও সামলান।

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে হিপকিন্স বলেন, করোনা মহামারি বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সংকট তৈরি করেছে। এখন তা তৈরি করেছে অর্থনৈতিক সংকট। এ দিকেই তার সরকারের গুরুত্ব থাকবে।

আগামী অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের আগে সরকারের জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব হিপকিন্সের।

সূত্র: বিবিসি

Print Friendly and PDF