চট্টগ্রাম, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থানচিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, রোয়াংছড়ি-রুমায় বলবৎ

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ৩:৪১ : অপরাহ্ণ

বান্দরবানের থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ রয়েছে।

গেল ১১ জানুয়ারি বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে দেওয়া এক সপ্তাহের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বুধবার রাতে শেষ হবে। নতুনভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি না করায় থানচি উপজেলায় ভ্রমণে পর্যটকদের আর কোনো বাধা রইল না।

নিষেধাজ্ঞা না থাকায় দেশি-বিদেশি পর্যটক থানচি উপজেলার রোমাঞ্চকর পর্যটন স্পট নাফাকুম, রেমাক্রী, বড়মদক, আন্ধারমানিক, অমিয়কুম, তমাতুঙ্গিসহ দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সূত্র জানায়, বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।

নিষেধাজ্ঞার কারণে রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝর্ণা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝর্ণাসহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারছেন না পর্যটকরা।

এদিকে একের পর এক পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় গোটা বান্দরবান জেলায় ধস নেমেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে। পর্যটনের ভরা মৌসুমেও ফাঁকা হয়ে পড়েছে জেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলো।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা ও রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলায় ১৬ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। তবে থানচি উপজেলা ভ্রমণে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। বুধবার থেকে পর্যটকরা থানচি উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

Print Friendly and PDF