চট্টগ্রাম, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ , ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্ত্র তৈরিতে মিয়ানমারকে সহযোগিতা করবে বিশ্বের পরাশক্তি ১৩ দেশ

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৪৪ : পূর্বাহ্ণ

মানবাধিকার লঙ্ঘন করে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র চালাতে সেনাবাহিনীকে অস্ত্র তৈরি করতে মিয়ানমারকে সহযোগিতা করবে এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকা। ১৩ দেশের মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, ভারত, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাষ্টের কথা বলা হলেও অন্য দেশের কথা বলা হয়নি। খবর আল জাজিরা

পশ্চিমাদের নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভারত ও জাপানের কোম্পানিগুলোও এ তালিকায় রয়েছে বলে জাতিসংঘের সাবেক তিন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছে।

মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে তৈরি এসব অস্ত্র সামরিক বাহিনীর বিরোধীতাকারীদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার সহিংসতায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। অভ্যুত্থান বিরোধীরা প্রান্তীয় নৃগোষ্ঠীগুলোর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়ে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

প্রতিবেদনে যেসব কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে কাঁচামাল, প্রশিক্ষণ ও মেশিনপত্র সরবরাহ করে; এর ফলে যে অস্ত্রগুলো তৈরি হয় তা তাদের সীমান্ত রক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয় না।

প্রতিবেদনটির অন্যতম লেখক এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সাবেক বিশেষ প্রতিবেদক ইয়াংহি লি ব্যাখ্যা করে বলেন, “কোনো রাষ্ট্র মিয়ানমারকে কখনো আক্রমণ করেনি আর মিয়ানমার অস্ত্র রপ্তানিও করে না। ১৯৫০ সাল থেকেই তারা নিজেদের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য নিজেদের অস্ত্র তৈরি করে আসছে।”

সর্বশেষ অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারিভাবেই সামরিক বাহিনীর হাতে ২৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা এর ১০ গুণ বেশি বলে মনে করা হয়।

প্রতিবেদন তৈরিতে উৎস হিসেবে তারা ফাঁস হওয়া সামরিক নথি, সাবেক সেনাদের সাক্ষাৎকার ও কারখানাগুলোর স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করেছেন। অমূল্য উৎস হিসেবে বিভিন্ন ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৭ সালে গ্রহণ করা ছবিগুলো থেকে প্রমাণ পাওয়া গেছে, অভ্যুত্থানের আগেও নিজেদের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করতো তারা।

কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বহু ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকলেও তারা কখনোই অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করেনি, বরং তাদের অস্ত্র কারখানার সংখ্যা আরও বেড়েছে। ১৯৮৮ সালে ছয়টি অস্ত্র কারখানা থাকলেও তা বেড়ে এখন ২৫টির মতো হয়েছে।

Print Friendly and PDF